“প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনে রুহুলের সঙ্গে নাদিয়ার পরিচয় হয়। পরে মোবাইল ফোনে তাদের বিয়ে হয়।”
Published : 19 Oct 2024, 09:38 PM
না জানিয়ে আবার বিয়ে করায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এক ইমামকে তার প্রথম স্ত্রী হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিকালে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুরের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ রুহুল আমীনের লাশ উদ্ধার করে বলে
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের জানান।
নিহত মাওলানা রুহুল আমীন (৩৭) কানাইঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের গ্রামের লামা ডেমি গ্রামের শহীদুর রহমানের ছেলে এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় নাদিয়া রুহুলকে অচেতন করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। তারপর লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। এরপর তিনি রুহুলের বাবার বাড়িতে গিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে জানান যে, স্বামীকে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। এরপর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে এলাকাবাসীসহ পুলিশ বাসার খাটের নিচ থেকে রুহুলের লাশ উদ্ধার করে।
এলাবাসীর বরাতে ওসি মীর মোহাম্মদ বলেন, “নাদিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনে রুহুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ২০২০ সালে মোবাইল ফোনে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন।
“প্রবাসে থাকাকালীন আয়ের সব টাকা তিনি রুহুলকে কাছে দিতেন। এছাড়া তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিও হত। গত ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে না জানিয়ে ইমাম অন্য নারীকে বিয়ে করেন। যে কারণে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায় নাদিয়ার।’’
নিহতে রুহুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে (৪০) আটক করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।