“প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে তিনজনের শরীর পুড়ে যায়।”
Published : 13 Sep 2024, 09:03 PM
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলাায় স্ত্রীসহ তিনজনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে ওই তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার গওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো জানান।
দগ্ধরা হলেন-ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী ও সাটুরিয়া উপজেলার গওলা গ্রামের আতোয়ার হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার (৩০), তার চাচি শিরিন আক্তার (৫৫) ও চাচাত ভাই রুবেল হোসেন (৩২)।
ঘটনার পর থেকে শারমিনের স্বামী হাসান পালাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রথমে দগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে জেলার কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
শারমিনের মামা বাসু মিয়া জানান, ১০ বছর আগে হাসান আলীর সঙ্গে তার ভাগ্নির বিয়ে হয়। কয়েক বছর ধরে শারমিন ও হাসানের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শারমিনকে বিভিন্ন সময়ে মারধরও করতেন তার স্বামী। এর জেরে গত সোমবার শারমিন তার আট বছরের ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে।
শুক্রবার সকালে হাসান শ্বশুর বাড়িতে গেলে সেখানেও শারমিনের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সে পাশের চাচার বাড়িতে গেলে সকাল ১০টার দিকে হাসান ওই ঘরের ভেতর গিয়ে শারমিনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান বাসু।
তিনি বলেন, “এ সময় চাচি শিরিন ও চাচাত ভাই রুবেল শারমিনকে উদ্ধার করতে গেলে হাসান তাদের শরীরেও কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তিনজনের শরীরেই আগুন ধরে যায়। তখন প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে তিনজনের শরীর পুড়ে যায়।”
ঘটনার পর থেকে হাসান পলাতক রয়েছেন জানিয়ে পরিদর্শক মানবেন্দ্র বালো বলেন, “আগুন দেওয়ার ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।”
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।