কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী আশ্রয় শিবিরে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১১টি ইউনিট তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাতে উখিয়া থানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসাব দেয়।
থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, “এফডিএমএন ক্যাম্প-১০ ও ক্যাম্প-১১ এর মাঝামাঝি বিভিন্ন ব্লকে আগুন লাগে। তিন ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১২ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থালের আশেপাশে এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে থানা পুলিশের যৌথ টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে।
দুপুর আড়াইটায় উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বি-ব্লকে হঠাৎ করে আগুনের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন বিভিন্ন বসতঘরে ছড়িয়ে যায়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, “এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুড়ে যাওয়া স্থাপনার মধ্যে ৩৫টি মসজিদ ও মক্তব আছে।“
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দোজা নয়ন বলেন, “বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি, ই, ডি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। নয়, ১০ এবং ১২ নম্বর ব্লকের কিছু পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে।”
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা শরণার্থী যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে।”
আরও পড়ুন: