“আমাদের বোন আঁখিকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই। তাদের ফাঁসি চাই।”
Published : 20 Jun 2023, 01:30 AM
ঢাকায় এসে চিকিৎসায় গাফিলতিতে নবজাতকসহ না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো মাহবুবা রহমান আঁখিকে কুমিল্লার লাকসামে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসবের সময় আঁখি সন্তানটির মৃত্যু হয়েছিল গত ৯ জুন। সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়া আঁখিকে তখন ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। রোববার সেখানে তারও মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের পর সোমবার আঁখির লাশ নিয়ে যান স্বজনরা। এরপররাত সোয়া ৯টায় লাকসাম উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়ন গাইনেরডহরা গ্রামে আঁখির বাবার বাড়িতে পৌঁছান তারা।
দুজনের লাশ দেখে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। শেষবারের মতো আঁখি ও তার নবজাতকে দেখতে ছুটে আসেন তার স্কুলজীবনের সহপাঠিসহ এলাকার শত-শত নারী পুরুষ।
পরে রাত ১০টার দিকে ওই গ্রামে জানাজা শেষে নবজাতকসহ আঁখিকে তার প্রয়াত বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে বলে তার স্বজনরা জানান।
আঁখির স্বামী স্কুলশিক্ষক ইয়াকুব আলী সুমন ভুল চিকিৎসায় স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
আঁখির বড় বোন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমাদের বোন আঁখিকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই। তাদের ফাঁসি চাই।”
আঁখির চাচাত ভাই শাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, “চিকিৎসকদের কাছে মানুষ কত অসহায় ও জিম্মি নবজাতক এবং তার মায়ের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে তা প্রমাণিত হল।”
আঁখি লাকসাম নরপাটি (লাকসাম পূর্ব) ইউনিয়নের গাইনেরডহরা গ্রামের পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসআই মাহবুবুর রহমানের মেয়ে। তিনি ঢাকার ইডেন কলেজে উচ্চতর গণিতে শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
তার স্বামী ইয়াকুব আলী পাশের নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা; তিনি তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
আঁখি এখন সন্তানের পাশে, দেখা হল না দুজনার
আঁখির মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে, বলছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক