জৈন্তাপুর ইউএনও বলছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে তারা অভিযান চালান। কিন্তু অভিযানে যাওয়ার আগে ‘বালুখেকো চক্রটি’ খবর পেয়ে যায়।
Published : 26 Jan 2025, 01:37 AM
ইজারা না থাকার পরও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার স্বচ্ছ নীল জলের ধারা লালাখাল থেকে বালু লুটে নিচ্ছে একটি গোষ্ঠী; প্রকৃতি-পরিবেশ বিধ্বংসী এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে লুটেরাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সীমান্তের যাদুকাটা, পিয়াইন বা ডাউকি নদী থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের পর এবার লুটপাটকারীদের চোখ পড়েছে সারি নদীর পর্যটনকেন্দ্র লালাখালে। খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশের নীলাভ জলের সৌন্দর্য দেখতে এখানে প্রতিবছর লাখো পর্যটক জড়ো হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘প্রশাসনের নাকের ডগাতেই’ অবৈধভাবে লুটপাট চলছে লালাখালে। শ্রমিক নেতা, বালু ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির অসৎ কর্মকর্তাও এর সঙ্গে জড়িত।
এভাবে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে কেবল লালাখালের প্রবাহমান ধারাই ধ্বংস হবে না, এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন পরিবেশবাদীরা। তারা লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ চেয়েছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে তারা অভিযান চালান। কিন্তু অভিযানে যাওয়ার আগে ‘বালুখেকো চক্রটি’ খবর পেয়ে যায়।
“নদীতে যারা বালু তোলে তাদের খবর দেওয়ার জন্য আমাদের উপজেলা পরিষদের গেইটে সবসময় কিছু লোক থাকে। আমরা অভিযান করতে করতে ক্লান্ত; আমি অফিস থেকে বের হলেই তাদের দেখতে পাই। এটা আমরাও বুঝতে পারছি।”
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, লালাখাল এলাকা একটি পর্যটনকেন্দ্র। সারী নদীর উৎসমুখ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সারী-১ এলাকার বালুমহাল ইজারাভুক্ত।
সারীঘাট থেকে লালাখাল জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সারী-২ ও সারী-৩ বালুমহাল এলাকা ইজারার বাইরে রয়েছে। সারী-২ ও সারী-৩ বালুমহাল নিয়ে মামলা থাকায় ইজারা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু সারী-২ ও সারী-৩ এলাকা থেকেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে।
অবৈধ বালুর জমজমাট ব্যবসা
সারীঘাট-লালাখাল এলাকার বালু ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ঘনফুট বালু বর্তমানে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে শ্রমিকদের কাছ থেকে বালু কিনে নেওয়া হয় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে।
একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তিনজন লোক শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। প্রতিদিন তিন ট্রিপ দিতে পারে প্রতিটি নৌকা। ১০০ ঘনফুট ধারণক্ষমতার নৌকা দিয়ে প্রতিদিন তিনজন শ্রমিক ৩০০ ঘনফুট বালু তুলবে পারেন; যার দাম সাড়ে ১০ হাজার টাকার মত। এ টাকা থেকে ‘উপরের লোকদের ম্যানেজ’ করতে ৭০০-৮০০ টাকা দিতে হয় শ্রমিকদের। এছাড়া নৌকার তেল খরচ রয়েছে।
লালাখালের পাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, প্রতিদিন কয়েকশ নৌকা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। আর বারকি শ্রমিকের কাছ থেকে নৌকাপ্রতি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এই চাঁদার ভাগ যাচ্ছে ‘সবখানে’।
লালাখালের পর্যটকবাহী নৌকার একাধিক মালিক বলেন, তাদের পরিবার চলে পর্যটকদের লালাখাল ঘুরে দেখানোর বিনিময়ে। সারীঘাট থেকে একটি নৌকা ১৬০০ টাকায় পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আর নাজিমগড় রিসোর্টের ঘাট থেকে ৮০০ টাকায় পর্যটকদের জিরো পয়েন্টে আনা-নেওয়া করা হয়। এখানে শতাধিক পর্যটকবাহী নৌকা রয়েছে।
নৌকা মালিকরা বলেন, বর্তমানে যেভাবে বালু উঠানো হচ্ছে, এতে করে লালাখালের সৌন্দর্য কমে যাবে। খালের যেখানে বালু রয়েছে; সেখান থেকেই বালু নিয়ে যাচ্ছে তারা। আগামীতে পর্যটকরা এসে আগের মত সুন্দর লালাখাল আর পাবেন না। এটি দ্রুত বন্ধ করা দরকার।
লালাখাল তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রতি প্রশাসন একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করার পরও লালাখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং চাঁদাবাজি থামছে না। আর মারধরের শিকার হওয়ার ভয়ে এ চক্রের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চান না।
কঠোর নজরদারি, বালু তোলার প্রতিযোগিতা
সম্প্রতি এক দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটনকেন্দ্র লালাখালের জিরো পয়েন্টে অন্তত দেড় শতাধিক ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। শ্রমিকরা বালু তোলার কাজে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। কার নৌকা আগে ভরা হবে তার জন্য সবাই দ্রুত হাত চালাচ্ছেন। লালাখাল জিরো পয়েন্টের দুইপাড়েও শ্রমিকরা বালু তুলতে ব্যস্ত।
জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে করতে সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। নদীর দুই পাড়েই রয়েছে মানুষজন। এর মধ্যে কেউ কেউ আবার নজর রাখছেন চারপাশে। মূলত সারীঘাট থেকে লালাখাল জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত নদীটির বিভিন্ন স্থানে নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন চোখে পড়েছে। দুই পাড়ের বিভিন্ন স্থানে বালু তোলার কারণে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
লালাখাল জিরো পয়েন্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার সামনে নাজিমগড় রিসোর্টের ঘাট। এই ঘাটের পূর্বপাড়ের গ্রাম নিশ্চিতপুরের নদীপাড়ে বালু শ্রমিকরা নিজেদের নৌকার বালু বিক্রি করেন। নদীর তীর থাকে ট্রাকে বালু ভরে পরিবহন করার দৃশ্যও চোখে পড়ে।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নিশ্চিতপুরের ঘাট থেকে ট্রাক দিয়ে বালু পরিবহন করা হয়। আর তীরের বালুচরে ত্রিপল দিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘর বানানো হয়েছে। ওই ঘরে কয়েকজন যুবককে বসে থাকতে দেখা গেল। তারা সেখানে বসে খাতায় লেখালেখি করছেন।
উত্তোলন করা বালুর বেশিরভাগটা নিয়ে আসা হচ্ছে সারীঘাট এলাকায়। কারণ সারীঘাট সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে বলে সহজে পরিবহন করা যায়। সারীঘাটের নদীর তীরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বালু। সেখানে একসঙ্গে দেড় থেকে দুই শতাধিক নৌকা থেকে বালু নদীর তীরে ফেলতে দেখা যায়।
লালাখাল জিরো পয়েন্টে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়া আকমল হোসেন বলেন, “আমি কয়েক বছর আগে একবার এখানে এসেছিলাম। আগের সেই সৌন্দর্য এখন আর নেই। খালের বিভিন্ন স্থানে দেখে মনে হয়েছে ক্ষত-বিক্ষত। এই দেখেন জিরো পয়েন্টের অবস্থা; চারপাশে গর্ত আর বালু তোলা হচ্ছে।”
যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
জৈন্তাপুরের সারীঘাট-লালাখাল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, লালাখালের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন, সামসুজ্জামান সেলিম মেম্বার, আব্দুল মন্নান, আব্দুর রহমান, সিফত উল্লাহ কুটি, মিজান, আসান, ডালিম, ফখরুল ইসলাম, বারকি নৌকা শ্রমিক সভাপতি আমির আলী, সাধারণ সম্পাদক নজির আহমদ, সারীঘাট বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ, নিজপট ইউপি চেযারম্যান ইন্তাজ আলী- এরাই মূলত বালু উত্তোলনের কাজে জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে জৈন্তাপুর উপজেলার ১ নম্বর নিজপট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী বলেন, “সরকারের নদী থেকে আমরা কীভাবে বালু তোলার অনুমতি দেব। টাকা ওঠানোর বিষয়েও আমরা কিছু জানি না। দেখা গেছে, ডিসি সাহেব আসলে শ্রমিকেরা বালু তোলার দাবি তোলে, তখন আমরা সামনে থাকি।”
সামসুজ্জামান সেলিম মেম্বার বলেন, “আমারে কেউ দেখছেনি কোনোদিন বালুর উঠানোর কাজে। আমি প্রশাসনের অভিযানের সময় উপস্থিত থাকি বিধায় আমাদের নাম বলে অনেকে।”
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে সারীঘাট বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান মোল্লা বলেন, “যারা বালু তুলেছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন; আমি এসবে জড়িত না। বালু কোয়ারি আংশিক লিজ আছে।”
সারীঘাট বারকি শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, “চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার মুরব্বীদের অনুমতি নিয়ে আমরা বালু উত্তোলন করছি। প্রসাশনের নামে কোনো টাকা উঠে না।
“ইউনিয়ন অফিস, শ্রমিক সংগঠন ও নদীর পাড়ের বাড়ি-ঘরেরর পাশ থেকে বালু নিলে তাদের কিছু টাকা-পয়সা আমরা দেই আরকি। এলাকার মানুষ এলাকার বালু তুলছে। আমরা প্রতিদিন বালু উঠাই না, আপনি এসে দেখেন।”
‘শুধু লালাখাল না, প্রাণ-প্রকৃতিও শেষ হয়ে যাবে’
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা’র সংগঠক অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, লালাখাল মূলত আন্তঃসীমান্ত ও সংকটাপন্ন একটি নদী, যা দেশের অন্য নদী থেকে ভিন্ন ও প্রতিবেশ-পরিবেশ এবং প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
“লালাখালে প্রবাহিত স্বচ্ছ পানি এবং তলদেশের খনিজ বালু ও নুড়ি-পাথর দেখে মনে হবে এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যাকুরিয়াম। লালাখালের উজানে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মেঘালয় পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক এখানে আসে।
“সাম্প্রতিক সময়ে লালাখাল থেকে গণহারে বালু উত্তোলনের নামে যা চলছে, তা মূলত খনিজ সম্পদের লুটপাট। অথচ পরিকল্পিত উপায়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে বালু উত্তোলন করলে তা দেশের উন্নয়নেও কাজে লাগত; নদীটিও সংকটে পড়ত না। আবার পর্যটন মূল্যও অব্যাহত থাকত।”
প্রশাসন কঠোর না হলে কেবল নদীটিই ধ্বংস হবে না; এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মত দেন অধ্যাপক জহিরুল হক।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস বলেন, “অঘোষিত জায়গা থেকে বালু-পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হয়। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া অন্য স্থান থেকে বালু-পাথর ওঠানো খুব রিস্কি; এটা করলে পর্যটনকেন্দ্র, মানুষের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এটা করা যাবে না।”
তিনি বলেন, সিলেটে পর্যটন ব্যবসা বাড়ানোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার। তা না হলে পর্যটকরা সিলেটে এসে শান্তি পাবেন না। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি জরিপের ফলাফলে যদি বালু-পাথর ওঠানো যায়, তাহলে নির্দিষ্ট স্থানগুলো থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বালু-পাথর উত্তোলন করা প্রয়োজন।
“কারণ, সিলেটের একেকটি সেক্টরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ কাজ করছে; আর তাদের উপার্জনের ওপর পরিবারের এক লাখ ২০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল।”
সম্মিলিত উদ্যোগ চায় প্রশাসন
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, নদীর পাড় থেকে যেসব রাস্তা দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু পরিবহন করা হয়; সেসব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। গত সপ্তাহেও জেলা প্রশাসন লালাখালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।
ডিসেম্বরে পরিবেশ অধিদপ্তর বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জানিয়ে জৈন্তাপুরের ইউএনও উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সারীঘাট টু লালখালের আটটি স্থানে পাকা পিলারের স্থায়ী ব্যারিকেড দেওয়া হবে, যাতে নদীর পাড় থেকে গাড়ি দিয়ে বালু পরিবহন না করতে পারে।
আর প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন ইউএনও।
জৈন্তাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন, লালাখালে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রায় প্রতিদিন অভিযান হচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও বিজিবির সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।
প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে যারা চাঁদাবাজি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি আপনার মুখ থেকে কথাটি প্রথম শুনেছি। আমি কারো কাছ থেকে একটি টাকাও নিইনি; আর ভবিষ্যতেও নেব না।”
প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিকবার অভিযান ও মামলা হয়েছে।”
পুরনো খবর
জাফলংয়ে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে পাঁচ স্থানে ব্যারিকেড
জাফলংয়ে 'বালু তোলা নিয়ে' সংঘর্ষ, আহত ৭