এসব স্থানে ভোটের মাধ্যমে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট শেষ হল।
Published : 09 Jun 2024, 10:33 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০টির মধ্যে ১৯ উপজেলার নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।
ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, এ উপজেলাগুলোতে তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু রেমালের কারণে তখন নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন।
তবে ভোটের আগের দিন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ নামে একটি সংগঠনের ডাকা অবরোধের মধ্যে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, রোববার ১৯ উপজেলার এক হাজার ১৮১ কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে শুধু পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়েছে। ভোটের পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয় গণনার কাজ।
সন্ধ্যার পর থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে থাকেন।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ফলাফল-
গৌরনদী (বরিশাল): গৌরনদীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৪৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯২৪ ভোট।
আগৈলঝাড়া (বরিশাল): আগৈলঝাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি। দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৬৯ ভোট।
রাজাপুর (ঝালকাঠি): চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জেষ্ঠ্য সহ সভাপতি মিলন মাহামুদ বাচ্চু মৃধা। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আফরোজা আক্তার লাইজু দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ২০ ভোট।
কাঠালিয়া (ঝালকাঠি): এ উপজেলায় দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ মো. এমাদুল হক মনির। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সিকদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮১ ভোট।
সদর (পটুয়াখালী): চেয়ারম্যান পদে জেলা যুবলীগ সদস্য মো. রেজাউল করিম সোয়েব ঘোড়া প্রতীকে ৩২ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদর থানা আওয়ামী লীগের নেতা ও উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মনির আনারস প্রতীকে ২২ হাজার ১৬৪ ভোট পেয়েছেন।
দুমকি (পটুয়াখালী): চেয়ারম্যান পদে ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টা শাখা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাওসার আমীন হাওলাদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৪ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারুন অর রশিদ হাওলাদার মোটরসাইকেল প্রতীকে ৯ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন।
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী): মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী আবারও জয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৮৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম ঘোড়া মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৯২ ভোট।
মোংলা (বাগেরহাট): পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি আবু তাহের হাওলাদার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিংড়ি মাছ প্রতীকে ২৭ হাজার ৯০২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৭ ভোট।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট): পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মোরেলগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. লিয়াকত আলী খান নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মো. মোজাম্মেল হক মোজাম দোয়াত-কলম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭২৯টি।
শরণখোলা (বাগেরহাট): পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, বর্তমান চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত ফের নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ১৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মিলন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮১৫ ভোট।
খালিয়াজুরী (নেত্রকোণা): উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুজ্জামান তালুকদার চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৬০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই কিবরিয়া জব্বার ঘোরা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫ ভোট।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বায়জিদ আহমেদ খান নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৭৮ ভোট।
লালমোহন (ভোলা): উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান টিটব দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৫ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আক্তার হোসেন শালিক পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৬৭ ভোট।
তজুমদ্দিন (ভোলা): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান আনারস প্রতীকে ২৪ হাজার ২৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলাল পেয়েছেন ২১ হাজার ৫১৭ ভোট।
কয়রা (খুলনা): মোটরসাইকেল প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মহসীন রেজা ৩৫ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩২৩ ভোট।
পাইকগাছা (খুলনা): চিংড়ি মাছ প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস।তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৭৮ ভোট।
ডুমুরিয়া (খুলনা): ঘোড়া প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এজাজ আহমেদ ৭০ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রদলের সদ্য বহিষ্কৃত সহসভাপতি মুমিনুর রহমান নয়ন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪১৫ ভোট।
পাথরঘাটা (বরগুনা): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হোসাইন দোয়াত কলম প্রতীকে ২৪ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূর আফরোজা মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২২৯ ভোট পেয়েছেন।
বামনা (বরগুনা): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৯৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা ঘোড়া প্রতীকে ১০ হাজার ৯০৩ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-
চতুর্থ ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা
তৃতীয় পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা