চতুর্থ ধাপে সারাদেশে ৬০ উপজেলায় ভোট হয়েছে।
Published : 05 Jun 2024, 09:48 PM
বড় কোনো গোলযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ। দেশের ৬০ উপজেলার পাঁচ সহস্রাধিক ভোটকেন্দ্রে বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
এ ধাপে ছয়টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। আগের তিনটি ধাপের মতই তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয় গণনা।
সন্ধ্যার পর থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, ভাইস চেয়ারম্যান ৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান হলেন যারা
দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা
ছাগলনাইয়া (ফেনী): জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী শহিদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ ভোট।
আমতলী (বরগুনা): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এলমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯১ ভোট।
তালতলী (বরগুনা): উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবিউল কবির জোমাদ্দার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৩ ভোট।
আরও পড়ুন:
তৃতীয় পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা
কানাইঘাট (সিলেট): জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান বাহার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৬৫ ভোট।
জকিগঞ্জ (সিলেট): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৪ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়ত নেতা মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।
বদরগঞ্জ (রংপুর): জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে রাব্বী সুইট কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তরিকুল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।
তারাগঞ্জ (রংপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিচুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহিনুর ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট।
কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ২৮৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৮ ভোট।
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ): উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার ঘোড়া প্রতীকে ৭০ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০৫ ভোট।
সদর (যশোর): যুবলীগ কর্মী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সদর উপজেলা শাখার সদ্য বহিষ্কৃত আহ্বায়ক ফাতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬১০ ভোট।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. তালেব উদ্দিন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৭ ভোট।
বাবুগঞ্জ (বরিশাল): বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. ফারজানা বিনতে ওহাব আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপন পেয়েছেন ২৫ হাজার ১১৪ ভোট।
বানারীপাড়া (বরিশাল): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৬৯ ভোট।
উজিরপুর (বরিশাল): উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবাল কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সভাপতি ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৫৯ ভোট।
ভালুকা (ময়মনসিংহ): জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়েছেন।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাদল আনারস প্রতীক নিয়ে ৭১ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪৫ ভোট।
নান্দাইল (ময়মনসিংহ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৮৭ ভোট।
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ৬১ হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমরানুল হক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩০ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৯৩ ভোট।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৩ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ ভোট।
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর): স্বর্ণ ব্যবসায়ী কাজী মনিরুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪২৯ ভোট।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মিল্টন ৫৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭ ভোট।
মুশফিকুর রহমান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের ছোট ভাই।
পার্বতীপুর (দিনাজপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ৭১ হাজার ১৬৭ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল গফুর পেয়েছেন ৬ হাজার ২২৪ ভোট।
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর): উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম ৪৯ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নিজামুল হাসান পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৫৫ ভোট।
ফাহিম স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ছোট ভাই।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ): উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান ঘোড়া প্রতীকে ৬২ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫২ ভোট।
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ): উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান ঘোড়া প্রতীকে ৫২ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৬২ ভোট।
হোমনা (কুমিল্লা): কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা লীগের সদস্য রেহানা বেগম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৩০ ভোট।
রেহানা কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদের স্ত্রী।
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৭ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ছুফু কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১১২ ভোট।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল আনারস প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম গোলাম ফারুক দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৭ ভোট।
কচুয়া (চাঁদপুর): পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম টেলিফোন প্রতীকে ৩৪ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহজাহান কাপ-পিরিচ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৫৮৪ ভোট।
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর): উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খাজে আহমেদ মজুমদার চিংড়ি প্রতীকে ৬২ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আমীর আজম রেজা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ১৬৫ ভোট।
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ): রেজাউল হক কাজল আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রকিবুল হাসান শিবলী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৭ ভোট।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): আবুল মনসুর কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪০ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৬ ভোট।
কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ): একক প্রার্থী হিসেবে আবুল হোসেন লিটন আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
নন্দীগ্রাম (বগুড়া): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫১ ভোট।
ধুনট (বগুড়া): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসিফ ইকবাল আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬২ ভোট।
শেরপুর (বগুড়া): চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ জামাল সিরাজী। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৪০ হাজার ১৮০টি। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৫১ ভোট।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত আনারস প্রতীকে ৫৫ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম মোজাহিরুল ইসলাম মনির কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট।
তাহরীম আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত একাব্বর হোসেনের ছেলে।
সখীপুর (টাঙ্গাইল): মুহাম্মদ আবু সাঈদ মিয়া আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সানোয়ার হোসেন সজিব গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪১ ভোট।
বাসাইল (টাঙ্গাইল): কাজী অলিদ ইসলাম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৫৪ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহা. শহীদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৫৯ ভোট।
গোপালপুর (টাঙ্গাইল): কে এম গিয়াস উদ্দিন দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩৩ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আইয়ুব খান হেলিকপ্টার প্রতীকে ৯ হাজার ৫৪৪ ভোট পেয়েছেন।
নওগাঁ সদর (নওগাঁ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল ৪১ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৭ ভোট।
মান্দা (নওগাঁ): আওয়ামী লীগের তোফাজ্জল হোসেন ২৪ হাজার ৮৪৯ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান পেয়েছেন ২৪ হাজার ২২১ ভোট।
মহাদেবপুর (নওগাঁ): চেয়ারম্যান পদে মাসুদুর রহমান ৪১ হাজার ৮৫৯ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভোদনের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন শোভন ৯২ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ১৮৪১৪ ভোট।
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): বিএনপির বহিষ্কৃত মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা যুবলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আল জাবের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিমা মুকাই আলী পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।
সুনামগঞ্জ সদর (সুনামগঞ্জ): জেলা যুবলীগের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল হুদা চপল মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৬ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলে রাব্বী স্মরণ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৭০ ভোট।
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ): সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের ছেলে সাদাত মান্নান অভি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তার প্রতীক আনারস।ভোট পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৮৭।তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আবুল কালাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ২৫৫ ভোট।
মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ): প্রথমবারের মতো নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া মোটরসাইকেল প্রতীকে ১২ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়ে চেয়াম্যান পদে জয় পেয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুর রহমান কাপপিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৯১৬ ভোট।
দাকোপ (খুলনা): উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবুল হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৩৭ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি মাছ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৬১ ভোট।
বটিয়াঘাটা (খুলনা): ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মোতাহার হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৮৭ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৪ ভোট।
রূপসা (খুলনা): দোয়াত-কলম প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থক সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৬ ভোট।
কেন্দুয়া (নেত্রকোণা): উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া ঘোড়া প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭০ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল আলম মো. জাহাঙ্গীর চৌধুরী কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৫৮ ভোট।
চারঘাট (রাজশাহী): চেয়ারম্যান পদে কাজী মাহমুদুল হাসান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩২ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফকরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ৪১ ভোট পেয়েছেন।
বাঘা (রাজশাহী): চেয়ারম্যান পদে মো. লায়েব উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩২ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রুকনোজ্জামান আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ২৯৯ ভোট পেয়েছেন ।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার ঘোড়া প্রতীকে ৩২ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম আল সাইফুল আনারস প্রতীকে ২১ হাজার ১৬১ ভোট পেয়েছেন।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান মামুন ঘোড়া প্রতীকে ২৬ হাজার ২২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ বাশেদ ২১ হাজার ৫১ ভোট পেয়েছেন।
মনপুরা (ভোলা): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারমান মো. জাকির হোসেন আনারস প্রতীকে ২১ হাজার ৪০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শারিয়ার চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৫ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়েছেন।
চরফ্যাশান (ভোলা): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে নিয়ে ৬৮ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফিরোজ ঘোড়া প্রতীকে ১০ হাজার ৯৮৫ ভোট পেয়েছেন।