জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি জানান।
Published : 10 Apr 2025, 07:11 PM
নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম জানান।
আহতরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন (৫৫), সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের আকাশ (৩৮), যুবদল নেতা মো. শরীফ (৩৫), রাকিব জিয়া (২৭) ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুজন মিয়া (২৬)।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্যাহ মিয়া উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা হয়েও গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক তার ছোট ভাই।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবদুল্যাহ মিয়া এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে নোয়াখালী পৌর যুবদল নেতা জাকির হোসেনের চার একরের মৎস্য খামার, ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিনের তিন একরের মৎস্য খামার, নাছের আহাম্মদের দুই একর জমি, আবদুল হাইয়ের দুই একর জমি, ইলিয়াছ মিয়ার দুই একর জমিসহ ১৬ জন ব্যক্তির প্রায় ৩০ একর জমি জবরদখল, খামারের মাছ লুট, চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন।
তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। এ সময় আবদুল্যাহ মিয়ার অনুসারী সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের আকাশ প্রথমে মানববন্ধনে বাধা দিতে এলে মানববন্ধনকারীরা তাকে প্রতিহত করেন।
এরপর মোবাইল ফোনে লোকজন জড়ো করে আকাশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন মানববন্ধনকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চরজব্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন, জাকির হোসেন, মো. রায়হান, ভুট্ট মাঝি।
হামলার বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের আকাশ বলেন, “তারা পরিকল্পিতভাবে নিজেদের মানববন্ধনে নিজেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।”
নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্যাহ মিয়া বলেন, “স্থানীয় জনবিছিন্ন কিছু লোক রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি দলের নাম ব্যবহার করে জমি দখল তো দূরের কথা, কারো সঙ্গে কখনো খারাপ আচরণও করিনি।”
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে হাতাহাতির খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”