প্রায় সাত ফুট লম্বা কুমিরটিকে প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
Published : 17 Oct 2023, 07:20 PM
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ভুবনেশ্বর নদে ভেসে উঠা দুটি কুমিরের মধ্যে একটিকে উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।
নদের তীরবর্তী মানুষের মধ্যে কয়েকদিন ধরে আতঙ্কের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকায় কুমিরটি পাওয়া যায় বলে খুলনা বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম জানান।
১১ অক্টোবর বিকালে চরভদ্রাসনের গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম দুটি কুমির দেখা যায়। পরদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কিছুটা ভাটিতে কয়েকবার দুটি কুমিরটি ভেসে উঠতে দেখেন বাসিন্দারা। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রোববার দুপুরে কুমিরটি উদ্ধারের জন্য সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী একটি দল। তবে সেখানে কুমিরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের কাছে ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া কুমিরটি মিঠা পানির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি প্রায় সাত ফুট লম্বা। কুমিরটিকে প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে।”
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই প্রাণী বিশেষজ্ঞ।
২০২১ সালের ৯ অগাস্ট ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাঁড়ি বা খালে মিঠা পানির একটি কুমির পাওয়া গিয়েছিল। কুমিরটি সাতদিন ধরে ওই জলাধারে অবস্থান করেছিল। পরে সেটিকে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
এরপর গত বছরের অগাস্ট মাসে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামে ভোরবেলা মুরগির ছটফট শব্দ পেয়ে খোপের দিকে এগিয়ে গেলে কুমিরের কামড়ে জখম হন এক ব্যক্তি।
২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মিঠা পানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: