হোম
+
“দেশের গণমাধ্যমগুলো আমার আর সাকিবের কথা বেশি লিখেছে বলেই শোকজটি দেওয়া হয়েছে।”
Published : 01 Dec 2023, 06:41 PM
আদালতে হাজির হয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগের ব্যাখ্যা জমা দিয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
গণমাধ্যমে বেশি লেখার কারণেই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে শোকজ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার ফরিদপুর আদালতে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নিক্সন।
বিকাল ৩টায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন নিক্সন। এসময় সঙ্গে ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন ও তার আইনজীবী।
আদালত থেকে বেরিয়ে নিক্সন চৌধুরী বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধি। মনোনয়নপত্র জমার দিন আমি কাউকে দাওয়াত দেইনি। কোথা থেকে এতো লোক এসেছে সেটি আমার পক্ষে জানাও সম্ভব নয়। তবে রিটার্নিং কর্মকতার রুমে আমি পাঁচজনের বেশি কাউকে প্রবেশ করতে দেইনি।”
নির্বাচন আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনে কাজ করবেন উল্লেখ করে এ সংসদ সদস্য বলেন, “দেশের সব জায়গাতেই বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম হয়েছে, কিন্তু শোকজ দেওয়া হলো আমিসহ কয়েকজনকে। এতে ভালো হয়েছে, অন্য সকল প্রার্থী সাবধান হবে।
“পরবর্তীতে আমিসহ সকলেই নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলবে। সরকার যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছে, আমরাও আমাদের কর্মী-সমর্থকদের সেভাবে চলার নির্দেশনা দিব।”
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেছেন, “আমার মতো জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরই সমর্থকরা এসেছেন তার নেতার মনোনয়ন জমা দেওয়া দেখতে। কিন্তু দেশের গণমাধ্যমগুলো আমার আর সাকিবের কথা বেশি লিখেছে বলেই শোকজটি দেওয়া হয়েছে।”
বুধবার দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন নিক্সন।
মনোনয়ন পত্র জমা উপলক্ষে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও দুই শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রা করার অভিযোগ উঠে।
এতে এ সময় ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
যা সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৮(ক) ৩৮ (খ)-এর বিধান এবং তৎসহ বিধি ১২-এর বিধান লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে- নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ফরিদপুর-৪ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফরিদপুর-৪ আসন থেকে চতুর্থবারের মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলটির দ্বাদশ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ।
পুরানো খবর
