আহতরা বলছেন, তাদেরকে কেন মারা হয়েছে তারা তা জানেন না।
Published : 12 Apr 2025, 01:47 AM
চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোডে দুই যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো শহরে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে পুলিশের টহল জোরদারের কথা বলেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এস আই মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার শহরের শহীদ হাসান চত্বরে দুই দল ফল বিক্রেতার মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া বাঁধে। দুই পক্ষ মারমুখী অবস্থানে চলে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।
কিন্তু এর জের ধরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আবারও ফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পাশে শহীদ হাসান চত্বরে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। কয়েকজনকে মারধরও করা হয়।
কিছু সময় পর একদল যুবক শহরের বড়বাজার পূজাতলা এলাকায় গিয়ে হোটেল আল আমিনের মালিক মধু হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। ভয়ে বাড়ির লোকজন বাইরের দরজা বন্ধ করে দেয়। হামলাকারীরা ওই বাড়ির বাইরের বিদ্যুতের মিটার ভেঙে দেয়। ঘরের দরজা এবং দেয়ালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালিদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মধু হোসেনের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। কিছু সময় অবস্থানের পর সেখান থেকে পুলিশ চলে যায় এবং শহরে টহল শুরু করে।
এ সময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত একদল যুবক শহরের ফেরিঘাট রোডে দিয়ে দুজনকে কুপিয়ে আহত করে।
আহতরা হলেন, শহরের শান্তিপাড়ার বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম (২৭) ও পৌর এলাকার বেলগাছির বাসিন্দা মোহাম্মদ রুবেল হোসেন (৩৩)। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা বলছেন, তাদেরকে কেন মারা হয়েছে তারা তা জানেন না। যারা মেরেছে তাদের মুখ চেনেন, পরিচয় বলতে পারবেন না।
এ ঘটনার পর গভীর রাত পর্যন্ত শহরের ফেরিঘাট রোড এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে পুলিশের টহল দেখা যায়। একই সময়ে কিছু সংঘবদ্ধ যুবককে রড ও লাঠি হাতে শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এস আই মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, দুজনকে কুপিয়ে আহত করার সঙ্গে কারা জড়িত, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে, পুলিশের টহল দল অভিযান শুরু করেছে।