তার পদত্যাগের জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
Published : 03 Sep 2024, 08:28 PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার বিকালে অধ্যাপক তারিকুল বলেন, “উপাচার্য বরাবর সকালে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। ব্যক্তিগত কারণেই আমি পদত্যাগ করছি। দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে আমি কাজ করেছি।”
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক পোস্টে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসানকে পদত্যাগ করার জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদ।
এতে কারণ হিসেবে বলা হয়, “আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও তিনি পদত্যাগ করছেন না। উল্টো পেছনের তারিখে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত বলেন, “এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে চলে এসেছে। আমরা ভিসি নিয়োগ হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে ডিনদের সঙ্গে বসে ক্লাস চালু করার জন্য, তার (ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার) সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছি। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
“১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এখন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান। তিনি চাইলে ডিনদের সঙ্গে মিটিং করে ক্লাস চালু করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ফোনই ধরেননি।”
সমন্বয়ক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, পেছনের তারিখে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন তিনি। এজন্য তাকে পদত্যাগের জন্য সকাল ১১টা অবধি সময় বেঁধে দেওয়া হয়।”