রংপুরে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে মুক্ত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
Published : 19 Dec 2024, 06:30 PM
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা না দেখার কথা বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো রকম বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিংবা কোনো রকম বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে না।
সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, তেমন সুপারিশ করার কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
সেখানে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?” জবাবে বদিউল আলম বলেন, “আপনাদের মতো আমরাও ওটা দেখার অপেক্ষায় আছি।”
তখন সাংবাদিকদের আরেকজন প্রশ্ন করেন, “তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) সুযোগ দেওয়া হবে কি না?”
তখন বদিউল আলম বলেন, “আমি তো কোনো বাধা দেখছি না। কোনো রকমের বাধা তাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে বলে আমি তো দেখছি না।”
এরপর আরেক সাংবাদিক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, সঙ্গে জানতে চান ‘আওয়ামী লীগের ব্যাপারটাও’।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল তখন বলেন, “আওয়ামী লীগের ব্যাপারে... আমরা চাই একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।”
তার কথার মধ্যেই আরেক সাংবাদিক তখন প্রশ্ন করেন, “সব দলের?”
তখন বদিউল আলম বলেন, “সব দলের; অবশ্যই। যারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্বাচন অংশ নিতে পারবে, তাদের কোনো রকম বাধাবিপত্তি তাদের দেওয়া হবে না। সে রকম একটি নির্বাচন আমরা চাই।”
এসময় অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেনি মন্তব্য করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “তবে এবারের নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচনি কর্মকর্তারা সব ধরনের প্রভাবমুক্ত থাকবেন। যে কারণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে বলে আশা করি।”
রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করা হবে বলেও জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বলেন, “ভোটার তালিকা সংশোধন, হালনাগাদ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। আমরা এসব বিষয়ে সুপারিশ করব। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে। অতীতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছে, কেননা সেই নির্বাচনগুলো দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে।”
এ সময় রংপুর জেলা সুজন সভাপতি আকবর হোসেন, মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সুজনের বিভাগীয় সমন্বয়ক রাজেস দে রাজু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।