সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন মো. ময়নুল ইসলাম।
Published : 26 Oct 2024, 08:03 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ২১ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন আইজিপি।
আবু সাঈদ হত্যা: দুই পুলিশ সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে
বেলা ১১টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে যান ময়নুল ইসলাম। পরে আবু সাঈদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কবর জিয়ারত করেন তিনি।
এ সময় রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মজিদ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ রংপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মিছিলে গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।
আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক ডিআইজিসহ ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আবু সাঈদের মৃত্যু গুলিতেই, বলছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
নিহত আবু সাঈদ পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
এ ঘটনায় ১৮ অগাস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।