আগের দিন তাদেরকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Published : 10 Sep 2024, 01:09 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান।
রিমান্ডে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, তাজহাট থানার এএসআই সৈয়দ আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।
এদিন সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদেরকে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে পিবিআইয়ের তরফে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রোববার পুলিশ লাইন্স থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে মহানগর পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হন। তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে মহানগরের তাজহাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, পুলিশ সদস্য সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।
এজাহারে বলা হয়েছে, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। ১৬ জুলাই তিনি নিরস্ত্র ও একা ছিলেন।
তিনি দৃশ্যত পুলিশের জন্য কোনো হুমকি ছিলেন না। তার পরও তাকে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে একাধিকার গুলি করেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন বেলা ২টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান।
পুলিশের সামনে এ সময় প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান হেলমেট পরে এসে আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে ‘গুলি করুন, গুলি করুন’ বলে নির্দেশ দেন। অপর দুই আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল পুলিশকে গুলি করতে প্ররোচিত করেন।
বাদী রমজান আলী বলেন, “আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য মামলা করেছি। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যারাই অপরাধী, তাদের আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার করতে হবে।”