পুলিশের ধারণা, পারিবারিক বিরোধে সৌরভকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
Published : 02 Jun 2024, 08:31 PM
ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় সুতিয়া নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাগেজে পাওয়া খণ্ডিত লাশটির
পরিচয় মিলেছে; তিনি ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী।
রোববার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উপজেলার মনতলা সেতুর নিচে লাশের খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যায় বলে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি ফারুক হোসেন জানান।
নিহত ওমর ফারুক সৌরভ (২৪) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আকন্দের ছেলে। তিনি রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিশ্চিত নয় পুলিশ।
ওসি ফারুক হোসেন বলেন, “রোববার সকালে স্থানীয়রা ব্রিজের নিচে সুতিয়া নদীতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি লাগেজ থেকে মাথা ছাড়া শরীরের চারটি খণ্ড উদ্ধার করে। এরপর খানিকটা দূরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মাথা পাওয়া যায়।”
নিহতের চাচা রতন আলী বলেন, “সৌরভের বাবা আলী আকন্দ ডাক বিভাগে কর্মরত। বাবা মায়ের সঙ্গে সৌরভও ঢাকায় থাকত; শনিবার রাতে সে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসে।”
“সৌরভ ময়মনসিংহে থাকা আমার আরেক ভাইয়ের মেয়ে ইভাকে বিয়ে করে; কিন্তু সে বিয়ে মেনে নেয়নি ইভার বাবা ইলিয়াস আলী। পরে ইভাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসব নিয়ে আমাদের পারিবারিক কিছুটা বিভেদ চলছিল।”
তিনি বলেন, “তবে সেই বিভেদ সৌরভকে খুন করার মত নয়। তাকে হত্যার অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সৌরভ হত্যার রহস্য উদঘাটন হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।”
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধে সৌরভকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। নিহতের স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ”
খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লাগেজে শরীরের খণ্ডিত অংশ, মাথা মিলল পলিথিনে