পুলিশ লাগেজ থেকে মাথা ছাড়া শরীরের চারটি খণ্ড উদ্ধার করে।
Published : 02 Jun 2024, 02:05 PM
ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় একটি লাগেজ থেকে এক যুবকের চারখণ্ড করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা সেতুর নিচে সুতিয়া নদীতে পড়ে থাকা লাগেজ থেকে রোববার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ফারুক হোসেন জানান।
নিহত যুবকের বয়স ২৭ থেকে ৩০ বছর বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি।
তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
ওসি ফারুক হোসেন বলেন, “রোববার সকালে স্থানীয়রা ব্রিজের নিচে সুতিয়া নদীতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি লাগেজ থেকে মাথা ছাড়া শরীরের চারটি খণ্ড উদ্ধার করে। এরপর খানিকটা দূরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মাথা পাওয়া যায়।”
শনিবার রাতের কোনো এক সময় ওই যুবককে হত্যার পর লাশটি সেতুর নিচে ফেলা হয় বলে প্রাথমিক ধারণা এ পুলিশ কর্মকর্তার।
সদর উপজেলার খাগডোহর ইউনিয়ন পরিসদের সদস্য ফয়জুর রহমান তুহিন বলেন, “মানুষের একটি মাথা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে খবর দিলে আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই। লোকটাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
“তবে তার মুখ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এ এলাকার কেউ না। দূরে কোথাও থেকে তাকে হত্যা করে হত্যাকারীরা এখানে লাশ ফেলে গেছে।”
সাদিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় একজন বলেন, “লোকটিকে দেখতে শিক্ষিত ভদ্র মনে হচ্ছে। তার শরীর থেকে গলা পর্যন্ত মাথা এবং উরু থেকে দুই পা আলাদা করা হয়েছে।”
এ ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলছেন ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির।
তিনি বলছেন, “যুবকটিকে হত্যার পর লাগেজে মাথা ছাড়া মরদেহ ভরে ব্রিজের ওপর থেকে পানিতে এবং পলিথিনে মোড়ানো মাথা পাট ক্ষেতের কাছে ফেলে যায় ঘাতকরা। লাগেজে তার শরীরের খণ্ডিত অংশের সঙ্গে কাঁথা-বালিশও পাওয়া গেছে।”
“লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মেশিন দিয়ে গলা ও পা কাটা হয়েছে। পরিচয় যাতে সনাক্ত করতে না করা যায়, তার জন্য আলামতও নষ্ট করা হয়েছে।”