এ ঘটনায় মৃত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার চাচা।
Published : 24 Mar 2025, 03:33 PM
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ছেলেও মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার নিহতের এক ভাই মামলা করেছেন বলে জানান নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন মোল্লা।
রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোক্তারেরচর এলাকায় চেরাগ আলী বেপারী কান্দি এলাকা থেকে বাবা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মকবুল হোসেন মোল্লা (৬৫) ওই এলাকার বাসিন্দা এবং মারা যাওয়া ছেলের নাম রুবেল মোল্লা (৩৩)। রুবেল হার্ট অ্যাটাক করে মারা যার বলে জানান স্বজনরা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মকবুল কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার বড় ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রুবেলের মা কয়েক বছর আগে মারা যান। পরে মকবুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে বাবা-ছেলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
এর মধ্যে রুবেল বাবার বাড়ির পাশে আলাদা একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। রুবেল তার বাড়ির আশপাশে বেশ কিছু গাছ লাগান। সম্প্রতি ছেলেকে না জানিয়ে কয়েকটি গাছ কাটেন মকবুল। এ নিয়ে রুবেল তার বাবার কাছে গাছ কাটার কারণ জানতে চান।
দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রুবেল রামদা দিয়ে তার বাবার মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশে ক্ষেতে পড়ে থাকা গাছের ডালের সঙ্গে রুবেলের লুঙ্গি আটকে যায়। এতে পড়ে গিয়ে সেখানেই মারা যান তিনি।
কলহে 'বাবাকে হত্যার' পর যুবকের মৃত্যু
সোমবার দুপুরে নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে রুবেলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।
মুক্তারচর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাইকেল হোসেন বলেন, “রুবেলের মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই বাবা-ছেলের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হত। কিছুদিন আগে রুবেল মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন।
“রুবেলের লাগানো কয়েকটি গাছ তার বাবা কেটে ফেলেছিলেন। এতে রুবেল ক্ষুব্ধ হয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করেন। এক পর্যায়ে বাবাকে কুপিয়ে পালানোর সময় ক্ষেতে পড়ে গিয়ে মারা যান। রুবেল হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।