হাজতখানায় শফিকের বোতল থেকে পানি এক আসামির শরীরে পড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
Published : 15 Apr 2025, 07:51 PM
বগুড়ায় আদালতের হাজতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে সহকারী হাজতির মারধরের শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
মারধরের শিকার আবু সুফিয়ান শফিক বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “সকালে শফিককে হাজিরা দিতে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। হাজিরা শেষে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়; যেখানে আরও কয়েকজন আসামি অবস্থান করছিলেন।
“দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে শফিকের হাতে থাকা বোতল থেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি হত্যা মামলার আসামি সাগরের শরীরে পড়ে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাগর ও তার সহযোগী জলিলসহ আরও দুইজন মিলে শফিককে মারধর শুরু করেন।”
বিষয়টি দেখে তাৎক্ষণিক হাজতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং শফিককে অন্যত্র সরিয়ে নেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক।
পরে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের শফিক বলেন, “পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেনের নির্দেশে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি বাথরুমে আশ্রয় নিলে সেখানেও আমাকে মারধর করা হয়। পুলিশ হেফাজতে থেকেও আমি নিরাপত্তা পাইনি।
“হামলার পর কোনো চিকিৎসা না দিয়ে তড়িঘড়ি করে আমাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয় আদালত। হত্যা মামলার আসামি সাগর, জলিলসহ চারজন মিলে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করব।”
আওয়ামী লীগ নেতা শফিকের অভিযোগ অস্বীকার করে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে হাজতখানায় গিয়ে শফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মুখ্য বিচারিক হাকিমকে অবহিত করি। বিচারক পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”