নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের দখলে থাকা ১৪ বিঘা খাসজমি উদ্ধারে নেমেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
Published : 01 Nov 2020, 10:28 PM
রোববার বিকালে উপজেলার মেঘনাঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আতিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুনসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা সেখানে ছিলেন।
আল মামুন বলেন, “ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের মালিকানাধীন মদিনা গ্রুপের অবৈধ যতগুলো স্থাপনা ছিল সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সিমেন্ট কারখানার দুই পাশে এক জায়গায় আছে ২ দশমিক ১১ একর, আরেক জায়গায় ১ দশমিক ৮ একর, টোল প্লাজার কাছে ১ দশমিক ২০ একরসহ মোট ৪ দশমিক ৩৯ একর জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। দখল করে রাখা এই জমি প্রায় ১৪ বিঘার সমান।”
তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ জায়গাটি আমরা চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ২ দশমিক ১১ একর পরিমাণ দুই জায়গায় তিনটি স্থাপনা ভেঙে দিয়েছি। বাকি একটি স্থাপনা খুবই ভারি ও শক্তিশালী হওয়ায় সেটা ভাঙতে ভেকুতে সমস্যা হয়েছে। যে কারণে আমরা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেই।
“যে জায়গাগুলো আমরা দখলমুক্ত করেছি সেসব স্থানে লাল নিশান টানিয়ে দিয়ে এসেছি। তবে বাকি যে স্থাপনাগুলো অবৈধ দখলে রয়েছে সেগুলো অপসারণ করতে আমরা তাদের তিন দিন সময় দিয়েছি। তারা স্থাপনাগুলো নিজে থেকে সরিয়ে না নিলে আমরা পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালাব। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের ডিসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাজী সেলিমের দখল করে রাখা সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে তারা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সোমবার পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবী দাস লেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের পর সোমবার হাজী সেলিমের বাড়ি তল্লাশি করে মদ ও ওয়াকিটকি পাওয়ায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফান ও জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়।
গত রোববার নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের পর তিনি ধানমণ্ডি থানায় ইরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই মামলায় বুধবার এক শুনানি শেষে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে ঢাকার হাকিম আদালত।
এছাড়া ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হবে বলে চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানিয়েছেন।