ইসমাইল নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রী জেসমিন ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।
Published : 03 May 2024, 12:04 AM
নিখোঁজের ১৯ মাস পর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে স্ত্রী এসে হাতের ব্রেসলেট দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মনীষ বাবুর পোলট্রি ফার্মের ময়লার স্তুপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিস আলী।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুলকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
নিখোঁজ ইসমাইল হোসেন উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে। তিনি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। শিমুল তার বন্ধু ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ইসমাইলের স্ত্রী জেসমিন বেগম কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ইসমাইল নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রীর করা জিডির সূত্র ধরে সেসময় সাতক্ষীরার র্যাব-৬ এর সদস্যরা নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়।
বিষ্ণুপুর গ্রামের ধান কাটার শ্রমিক সিরাজ, বাবলু, পীযূষ, নূর জানান, সকালে তারা মনীষ বাবুর ফার্মের পাশের জমিতে ধান কাটছিলেন। এ সময় ফার্মের লোকজন এসে জানান, সেখানে ময়লার মধ্যে মানুষের মাথার একটি খুলি দেখা যাচ্ছে।
পরে তারা গিয়ে ফার্মের ময়লার মধ্যে একটি মাথার খুলি দেখতে পান। সেখানকার খড় সরিয়ে দেখা যায় মানুষের কঙ্কাল পড়ে আছে। পরে বিষয়টি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে জানানো হয়। তিনি ঘটনাস্থলে এসে থানায় খবর দেন।
কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে ইসমাইলের স্ত্রী জেসমিন বেগম ছুটে আসেন। তিনি হাতের ব্রেসলেট দেখে স্বামী ইসমাইলেকে শনাক্ত করেন। বিষয়টি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
দুপুর ১টায় সাতক্ষীরা পিবিআই, সিআইডি, ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।