রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন যে অটোরিকশাটি চালাতেন সেটি তারা সাড়ে ৯১ হাজার টাকায় কিনেছিলেন বলে সাক্ষ্যে উঠে এসেছে।
Published : 18 Sep 2017, 03:33 PM
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, সোমবার রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে এ মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তাদের মধ্যে এ জনের সাক্ষ্যে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এ নিয়ে এ মামলায় ৫১ জন সাক্ষীর মধ্যে মামলার বাদী খাদেমের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলামসহ ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হল।
রথীশ বলেন, মামলার ১২ আসামির মধ্যে তিন আসামি খাদেম হত্যার একমাস আগে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকার অটোরিকশা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান জসিম ট্রেডার্স থেকে অটোরিকশাটি কিনেছিলেন।
“আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় জসিম ট্রেডার্সের মালিক জসিম উদ্দিন কাঠগড়ায় থাকা নয় আসামির মধ্যে লিটন মিয়াকে শনাক্ত করেন”
“২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লিটন মিয়াসহ তিনজন তার দোকান থেকে ৯১ হাজার ৫০০ টাকায় একটি নতুন অটোরিকশা কেনেন বলে জসিম আদালতকে জানিয়েছেন। পরে পুলিশ তার দোকানে তদন্ত করতে গেলে তিনি খাদেম হত্যার বিষয়টি জানতে পারেন বলে তিনি সাক্ষ্যে উল্লেখ করেন।”
রথীশ বলেন, জসিম উদ্দিন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলারও সাক্ষি ছিলেন। খাদেম হত্যা মামলার অভিযুক্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনকে কুনিও হোশি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার জসিম ছাড়াও খাদেমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে বহনকারী ভ্যানচালক আজিজুল হক ও এলাকাবাসী শাহিনুর আলম এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।
মঙ্গলবার এবং বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এ দুদিন ছয়জন করে মোট ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে রথীশ জানিয়েছেন।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) গত ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ গত বছরের ৩ জুলাই জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জেএমবির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে গত ১৬ অগাস্ট রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জেএমবির ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।