বানের জলে ভারত থেকে ভেসে এসে দেড় মাস ধরে আলোচনায় থাকা হাতিটির মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগকে চিহ্নিত করেছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা।
Published : 16 Aug 2016, 09:52 PM
মঙ্গলবার জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কয়রা গ্রামে মারা যাওয়ার পর হাতিটির ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের দল করা হয়।
ময়নাতদন্ত দলের প্রধান কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “তাপদাহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবাহাদুর মারা গেছে।”
‘বঙ্গবাহাদুর’ আখ্যা পাওয়া আসামের হাতিটিকে ময়নাতদন্তের পর কয়রা গ্রামেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
এক মাসের বেশি সময় ধরে চার জেলায় হাতিটির পিছু পিছু ছোটার পর পাঁচ দিন আগে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে বেহুঁশ করে হাতিটিকে ধরা হয়।
এরপর রশি ও শেকল বেঁধে হাতিটিকে রাখা হলেও এটি রশি ছিঁড়ে কর্দমাক্ত একটি ক্ষেতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে হাতিটিকে সরাতে নানা চেষ্টা চালিয়েও সফল হননি বন কর্মকর্তারা।
হাতিটিকে সুস্থ করে তুলতে উদ্ধারকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাওয়া কয়রা গ্রামের মানুষের অভিযোগ, বন বিভাগের কর্মীদের অবহেলার কারণেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
তবে হাতিটি উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দিতে দিনরাত সরিষাবাড়ীতে থাকা উপপ্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, “বঙ্গবাহাদুরকে ভালোভাবে উদ্ধারের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমাদেরও খুব খারাপ লাগছে (মৃত্যুতে)।”