কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কুমিল্লায়, যাতে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
Published : 05 Apr 2016, 07:45 PM
ময়নাতদন্তের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড়ে তনু হত্যার বিচার দাবিতে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে তনুর লাশ পাওয়ার পর ধর্ষণের সন্দেহ পুলিশই প্রথম জানিয়েছিল।
হত্যাকাণ্ডের ১৪ দিন পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কুমিল্লার সভাপতি মৃণাল কান্তি ঢালী বলেন, “একটি মহলের চাপের কাছে ময়নাতদন্ত, ঘটনাস্থলের সুরতহাল সবটাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সুষ্ঠু তদন্ত-সুষ্ঠু বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে এদেশের সংস্কৃতিকে উদ্ধার করতে হবে।”
তবে আদালতের আদেশে তনুর লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত ইতোমধ্যে হয়েছে, তার প্রতিবেদন এখনও আসেনি।
সুজনের কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি আলী আকবর মাসুম বলেন, তনুর প্রথম ময়নাতন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রচার উদ্দেশ্যমূলক।
“ন্যায়বিচার ও নাগরিক নিরাপত্তার একটি বড় ইস্যু হচ্ছে তনু হত্যা মামলা। সেটি যেন ধামাচাপায় পড়ে না যায়। আর তনু হত্যা ও ধর্ষণ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
উদীচীর কুমিল্লা জেলা শাখার আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ।
তনুর বাবার করা মামলায় এখনও কোনো খুনিকে শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। থানা পুলিশ ও ডিবির হাত ঘুরে এখন তদন্ত করছে সিআইডি।