তনুর প্রথম ময়নাতদন্তে ধর্ষণের ‘আলামত নেই’

কুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর প্রথম ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2016, 10:49 AM
Updated : 4 April 2016, 10:49 AM

কুমিল্লা সেনানিবাসে এই হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর সোমবার প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল।

বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত হয়েছে চার দিন আগে। সেই প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। 

তনুর প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ময়নাতদন্তকারী দলের সদস্য ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বিকালে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি এখন প্রতিবেদনটি পুলিশে দেবেন।

“ওই প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি,” বলেন কামদা সাহা।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে তনুর লাশ পাওয়ার পর ধর্ষণের সন্দেহ পুলিশই প্রথম জানিয়েছিল।

তনুর বাবার করা মামলায় এখনও কোনো খুনিকে শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। থানা পুলিশ ও ডিবির হাত ঘুরে এখন তদন্ত করছে সিআইডি।

তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তারা এক সেনা কর্মকর্তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পিয়াল নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে তনুকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এসেছে বলে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি এ কে এম মঞ্জুরুল আলম জানিয়েছেন।

ভিক্টোরিয়া কলেজের এই ছাত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর  থেকে প্রতিবাদে সোচ্চার এখন সারাদেশ। সেনানিবাসের এই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।

তবে সেনা কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে বেসামরিক প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

সেনানিবাসের ভেতরে একটি স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তনু। হত্যাকাণ্ডের দিন সন্ধ্যায় ৩০০ গজ দূরে আরেকটি স্টাফ কোয়ার্টারে ছাত্র পড়াতে গিয়েছিলেন তিনি।  

সেখান থেকে না ফেরার রাতে ইয়ার হোসেন মেয়েকে খুঁজতে বের হন। দুই স্টাফ কোয়ার্টারের মাঝের অনেকটা নির্জন পথের ধারে ঝোঁপের মধ্যে অচেতন অবস্থায় তনুকে পান তিনি। ওই স্থানটি তনুর বাসা থেকে ৯০ গজ দূরে।

ইয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তনুর নাক থেতলানো ছিল, মাথার কিছু চুল ছিল কাটা।

তনুকে কবর দেওয়া হয়েছিল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে পারিবারিক কবরস্থানে। সেখান থেকে লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত হয়।