পানিবন্দি মানুষের খাদ্য এবং গো-খাদ্যের সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Published : 03 Jul 2024, 08:17 PM
গত পাঁচ দিনের বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে গাইবান্ধার প্রধান চার নদ-নদীর পানি বেড়ে কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলে তিস্তা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যে।
পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে গেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, কঞ্চিপাড়া, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, ঘুড়িদহ, ভরতখালী, সাঘাটা ও জুমারবাড়ী এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া, তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল।
বুধবার বিকাল ৩টায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৬৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ৪১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ৭৫ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি ৯৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সাঘাটা ইউপির চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, তার ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়ে দুই থেকে তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্দি মানুষের খাদ্য এবং গো-খাদ্যের সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, “নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, “ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বৃষ্টি ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার শঙ্কা রয়েছে। ”
আগের খবর-
গাইবান্ধায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা