হল থেকে অছাত্রদের বের করে দেওয়ার দাবিতে চার দিন থেকে একাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তৃতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থী।
Published : 04 Jun 2023, 02:57 AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থানরত সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম দুই দফায় সাক্ষাৎ করলেও নিজের দাবিতে অনড় অবস্থানরত ওই শিক্ষার্থী।
এদিকে শনিবার রাতে প্রত্যয়ের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা আলোচনার ভিত্তিতে তাদের কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন।
মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যয় গত বুধবার রাত থেকে তার হলের সামনের খেলার মাঠে অবস্থান নেন।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য তার বাসভবনে সামনে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রত্যয়কে দেখার জন্য রাত ১২টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে যান। এসময় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও তার সঙ্গে যান।
প্রত্যয়কে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করে উপাচার্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার দাবিগুলো মেনে নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু প্রত্যয়ের ভাষ্য, কার্যকর পদক্ষেপ না দেখা পর্যন্ত তিনি অবস্থান থেকে সরবেন না।
পরে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে উপাচার্য রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসভবনে চলে যান।
এর আগে শুক্রবার রাতেও প্রত্যয়ের সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য নুরুল আলম। তখনও তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
পরে এক সপ্তাহ থেকে সরে উপাচার্য আগামীকালের মধ্যে সব হলের অছাত্রদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। তখন রোববার অছাত্রদের তালিকা তৈরির কার্যক্রম শুরু হলে অবস্থান থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছিলেন প্রত্যয়।
এদিকে দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে তারা মিছিল নিয়ি গিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
তখন উপাচার্যের সঙ্গে কথা না বলে কর্মসূচি শেষ করবেন না বলে প্রক্টরিয়াল বডিকে জানিয়েছিলেন তারা। পরে উপাচার্য আসার পর আলোচনার ভিত্তিতে অবস্থান থেকে সরে আসেন তারা।
আর মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের মাঠে কাঁথা বিছিয়ে শুয়ে আছেন প্রত্যয়। তার পাশে একটি প্ল্যাকার্ডে তিনটি দাবির কথা লেখা।
দাবিগুলো হলো- হল থেকে গণরুম বিলুপ্তি করা, অছাত্রদের বের করা ও মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন নিশ্চিত করা।