কোটালীপাড়া উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
Published : 26 Nov 2024, 11:01 PM
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং তার মুক্তি দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
জেলায় জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ হলেও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে তিনজনকে।
সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধসহ আট দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দিয়ে আসা চট্টগ্রাম পুণ্ডুরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর রাত থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এদিন চট্টগ্রামের আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর কারাগারে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী যাতে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করতে পারেন; সে বিষয়ে আদেশ চান তার আইনজীবীরা। আদালত এ বিষয়ে কারাবিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
গোপালগঞ্জ: চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কোটালীপাড়ার থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।
চিন্ময় দাশকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গারহাটে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্যামল, রাজিব, মোহন জানান, বিকাল ৩টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়ন থেকে একটি মিছিল ভাঙ্গারহাট বাজারের কাছে এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।
এ সময় কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে চেরাই কাঠ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ভাঙ্গারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোবারক হোসেন (৪৯) আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট গ্রামের বিশ্বেশ্বর হালদারের ছেলে অসীম হালদার (৩৩), কলাবাড়ি গ্রামের যতীন অধিকারীর ছেলে দিলীপ অধিকারী (৩৮) এবং হিজলবাড়ী গ্রামের শচীন রোনাহা বাড়ৈর ছেলে তুষার বাড়ৈকে (৩৭) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর আটক তিনজনের মুক্তির দাবিতে ভাঙ্গারহাট বাজারে বিকাল ৪টার দিকে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ভাঙ্গারহাটের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে ভাঙ্গারহাট বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মলয় রায়, অশোক গাইন, সৌরভ মণ্ডল, অশোক বিশ্বাস, জয় দত্ত, কৌশল্যা বাগচী।
বক্তারা বলেন, আটক তিনজনকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
রাত পৌনে ৯টার দিকে কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিক্ষোভ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমিসহ কোটালীপাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা ভাঙ্গারহাট বাজারে অবস্থান নেই। হঠাৎ করে এক বিক্ষোভকারী পিছন থেকে আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এএসআই মোবারক আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।”
ওসি বলেন, “এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আটক তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ও শান্ত রয়েছে।”
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিজন হালদার বলেন, “ওসি আবুল কালাম আজাদ ও এএসআই মোবারক হোসেন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
বরিশাল: বরিশাল নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট বরিশালের ব্যানারে মঙ্গলবার নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ বিক্ষোভ হয়।
ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্ট হয়।
সড়কে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা দ্রুত চিন্ময় দাশের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন তারা।
বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সনাতনীরা। সড়ক অবরোধ করায় একটু যানজট হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হয়েছে।”
ফেনী: ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে সনাতনী ঐক্যজোটের ব্যানারে।
দুপুরে কয়েকশ মানুষ শহরের রামতারা শিশু পার্কে একত্রিত হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা শহরের ট্রাংক রোড, বড় মসজিদ, খেজুর চত্বর, দোয়েল চত্বরসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে বক্তব্য দেন হিন্দু মহাজোট ফেনী জেলার সভাপতি অজিত বরণ দাশ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ফেনী জেলার মুখপাত্র উৎপল কুমার শীল।
বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে চিন্ময় দাশের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সিলেট: সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সনাতনী ছাত্র সমাজ।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর ক্বীন ব্রিজ এলাকা থেকে মিছিলটি বন্দরবাজার এলাকায় এসে বিক্ষোভ করে। তবে মিছিল শুরুর আগে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে জানিয়েছেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
মিছিল থেকে চিন্ময় দাশের মুক্তি দাবি করা হয়।
তবে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়নি জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আইনে আছে মহানগর এলাকায় সভা-সমাবেশ ও মিছিল করলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। কর্মসূচির বিষয়ে মহানগর পুলিশ কিছু জানে না।
“হঠাৎ করে কে বা কারা কী করতেছে নিরাপত্তার স্বার্থে সেটিও দেখার বিষয়। বাধার বিষয় না; সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। বন্দরবাজার এলাকায় ওরা কর্মসূচি শেষ করে চলে গেছেন। এ সময় নগরীতে সহনীয় যানজটও ছিল।”
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।
মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে চিন্ময় দাশের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
পরে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড়কালিবাড়ী গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব দত্ত পল্টন, হিন্দু সনাতনী জাগরণী মঞ্চ টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক অভিজিৎ গৌড়, হিন্দু ছাত্র মহাজোট টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি শোভন সরকার।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক যান।
১৫ মিনিট মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে সড়কের উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় তারা সনাতনীদের আট দফা বাস্তবায়ন, সারাদেশে সনাতনীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চিন্ময় প্রভুর কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘তুমি কে আমি কে, সনাতনী সনাতনী’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুকান্ত বর্মন বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, শুধু রাজনৈতিক হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবিকভাবে অরাজনৈতিক হিন্দুদের ওপরও হামলা করা হয়েছে।
“আমরা যখনই আমাদের অধিকার আদায়ের কথা বলি, তখনই আমাদের কোনো একটি বিশেষ দেশের দালাল বলা হয়। আমরা যখনই আন্দোলন করেছি, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ট্যাগ দিয়ে আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা কোনো দেশের দালাল না।”
সুকান্ত বর্মন বলেন, “এদেশের সনাতনীরা সারাজীবনের জন্য এদেশে থাকতে চায়। আমরা যখন চিন্ময় দাশের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তখনই এদেশের প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এটি একটি ভিত্তিহীন মামলা বলে আমরা মনে করি।”
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে তারা জড়ো হন।
পরে ‘সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন কয়েকশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ। তারা প্রায় এক ঘণ্টা শহরের চাষাঢ়া চত্বরে অবস্থান নেন।
এতে বঙ্গবন্ধু সড়কসহ আশপাশের সড়কে স্বাভাবিক যানচলাচল বিঘ্ন ঘটে।
আন্দোলনকারীরা এই সময় তাদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় দাশের মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার বিচার দাবি করেন।
আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের মহাসচিব মানিক চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে কালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাল থেকে তাকে অনাহারে রাখা হয়েছে। তার জামিন নিয়ে নাটক করা হচ্ছে। এই নাটক থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মুক্তি পেতে চায়। চিন্ময় দাশের মুক্তি না হলে হিন্দু সম্প্রদায় ঘরে ফিরবে না।”
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে মিছিল নিয়ে দুই নম্বর রেলগেইটে বিক্ষোভ কর্মসূচি সমাপ্ত করেন তারা।
ফরিদপুর: ফরিদপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের মুক্তির দাবিতে মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে শহরের প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পুলিশের বাধার মুখে কিছু সময় অবস্থানের পর সেখান থেকে মিছিল বের করেন তারা।
পরে মুজিব সড়ক হয়ে কিছু দূর যেতেই পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আবার মিছিল নিয়ে জগদ্বন্ধু আঙ্গিনার সামনে গেলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে।
সেখান থেকে আঙ্গিনার মধ্যে গিয়ে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ। বাইরে অবস্থান নেয় পুলিশ।
ফরিদপুর ইসকন অধ্যক্ষ সত্য চৈতন্য দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “আমাদের নেতাকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়ভাবে আটক করেছে। আমরা তার মুক্তির দাবিতে সারাদেশের মত ফরিদপুরে কর্মসূচি পালন করতে যাই। কিন্তু ফরিদপুরের পুলিশ আমাদের এই কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে।”