Published : 08 May 2024, 04:57 PM
বড় ধরনের গোলযোগ, সহিংসতা ছাড়াই দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হল প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলার নির্বাচন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলে। এই ধাপে ২২টি উপজেলায় ইভিএম ও বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে।
ভোট শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গণনা চলবে। এরপর চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের একীভূত ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিকাল ৪টায় ঢাকায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘গোলযোগ ও সহিংসতা ছাড়াই’ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হয়েছে।
“বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। অনিয়মের অপচেষ্টা করা হয়েছে এমন ১৯টি ঘটনায় ৩৭ জনকে আইন শৃঙ্খরাবাহিনী আটক করেছে। যেখানেই কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
প্রথম চার ঘণ্টায় গড়ে ১ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়ার ধারণা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। আর ভেটে শেষে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এবার ভোটের হার গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি হবে না বলে তার ধারণা।
সবশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা ভোটে গড়ে ৪১% এর বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১% এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯% ভোট পড়ে।
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞেজর ভোলা হাট, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ কিছু এলাকায় এদিন ভোটের সময় হুমকি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
সকাল বেলা অধিকাংশ এলাকায় ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। কিছু এলাকায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বেড়েছে।
দুপুরে কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমতে, আপনাদের দোয়ায় ও জনগণের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট নির্বিঘ্নে হয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় আধা বেলা প্রত্যাশিত ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও বিকালে উপস্থিতি বেড়েছে।”
• এই ধাপে ভোটার ছিলেন ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন। মোট ১ হাজার ৬১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে তারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
• ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএমে ও বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোট চলছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ করে চার মাসের মাথায় দেশজুড়ে উপজেলার এ ভোট হল।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক’ দেখানোর কৌশলে উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন বা প্রতীক দেয়নি। ফলে এ নির্বাচনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। যদিও প্রার্থীদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতা, তারা ভোট করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। বিএনপি এ নির্বাচনও বর্জন করছে।
১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়।
পুরনো খবর