দলিলের নকল তোলার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে কি-না, তা যাচাইয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও কথা বলেন কর্মকর্তারা।
Published : 16 Apr 2025, 06:33 PM
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
এ সময় অনিয়ম-হয়রানি বন্ধ করতে সাব-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউনুসকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান দুদক সমন্বিত চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আজগর হোসেন।
বুধবার দুপুরে আজগর হোসেনের নেতৃত্বে চালানো এ অভিযানে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক তাফসির বিল্লাহ ও এসআই এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
দুদক জানায়, রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পদে পদে হয়রানি, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ ছিল।
অভিযানে বিগত দিনের দলিল ও নকল তুলে নিয়ে যাওয়া সেবাগ্রহীতাদের কয়েকটি ডকুমেন্ট দেখেছেন দুদক কর্মকর্তারা। এ ছাড়া দলিলের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।
নকল তোলার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে কি-না, তা যাচাইয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদক কর্মকর্তা আজগর হোসেন বলেন, “একটি দলিলে রাজস্ব (খাজনা রশিদ) কপি ছিল না। ভুলবশত এটি হয়েছে বলে তারা জানান। পরবর্তীতে যেন এ ধরনের ভুল না হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“এ ছাড়া সব রেকর্ডপত্র দেখে সঠিকভাবে দলিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলিল করতে ও নকল নিতে আসা কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রারকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
সাব-রেজিস্ট্রার ইউনুস বলেন, “দুদক কয়েকটি দলিল যাচাই-বাছাই করেছে। তারা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও মোবাইলে কথা বলেছেন। সরকারি ফি প্রায় ২৫০০ টাকা। এর চেয়ে ৫০০ টাকা বেশি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে এক সেবাগ্রহীতা জানান, ‘কেউ তাদের কাছ থেকে ঘুষ নেইনি, তারা খুশি হয়ে টাকা দিয়েছেন।”
সম্প্রতি রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঝাড়ুদার সোহেল চেয়ারে বসে টাকা গুণে নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তার মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হত বলে অভিযোগ ওঠে। পরে দুদকের অভিযানে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়।