সিরাজগঞ্জে ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ রাতে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে জানায় পিবিআই।
Published : 22 Apr 2024, 06:10 PM
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় এক শিশুকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার ৭ বছর পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার দত্তকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে ও নিহতের ফুফাত ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) ও আরফান মেম্বারের ছেলে শাকিব খান (২১)।
নিহত শিশু সূবর্ণা খাতুন (৮) ওই গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম বলেন, “সূবর্ণা ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান দেখতে দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যায়। সেখানে আসামিরা তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যার পর ছাব্বির ও তার বন্ধু শাকিব সূবর্ণাকে মধ্যশিমুলিয়া চরে নিয়ে যায়।
“সেখানে আগে থেকে আরও ছয়জন অপেক্ষায় ছিলেন। পরে সূবর্ণাকে ফসলি জমিতে নিয়ে তারা ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে নিস্তেজ হয়ে যায় এবং ঘটনাটি সবাইকে বলে দেওয়ার কথা বলে। পরে আসামিরা শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে চলে যায়। পরদিন সকালে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ রহস্য উদ্ঘাটন ছাড়াই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে বাদী না রাজী দিলে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৯ এপ্রিল ওই শিশুটির ফুফাত ভাই ছাব্বিরকে ঢাকার শ্যামলী এবং একই দিন নিজ এলাকা থেকে শাকিবকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পরে আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
ছয় মাস আগে আরেক আসামি একই এলাকার বশির মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাকে গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি জামিনে আছেন; বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা।