গাজীপুরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে: রনি সরকার

২০১৮ সালে রনির চাচা বিএনপির হয়ে ভোটে লড়েন, সে সময় তিনি সমান সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ করেন রনি।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2023, 05:57 PM
Updated : 14 May 2023, 05:57 PM

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ দেখছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহ নূর ইসলাম রনি।

তবে নির্বাচনী মাঠ এখনও ‘গরম’ হয়নি বলে মনে করেন তিনি। বলেছেন, সামনে যখন পুরোপুরি গরম হবে, তখন বিষয়টি বোঝা যাবে।

রোববার বিকালে গণসংযোগকালে গাজীপুর শহরে তাদের দলীয় নেতাদের সঙ্গে চা-পানের বিরতিকালে সাংবাদিকদের রনি এ কথা বলেন।

রনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের সমর্থন পাচ্ছেন। বিএনপি এই ভোট বর্জন করেছে।

রনি দলটির গতবারের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা। তার বাবা ২০০৫ সালে হত্যার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার আসামি নুর ইসলাম সরকার।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রনি নিজেকে ‘বিএনপি পরিবারের’ সদস্য পরিচয় দিয়ে বলেছেন, বিএনপির তৃণমূলের সবাই তার পক্ষে আছেন।

বিএনপিতে তার কোনো পদ নেই এবং এ কারণ দেখিয়ে দলটি রনির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান।

তিনি প্রার্থী হওয়ার কারণেই এই নির্বাচনটি জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, রনি এবং সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন–তিন জনের মধ্যে লড়াই কার কার মধ্যে হয় তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা।

দুপুরে টঙ্গী শহরের পাগার, ঝিনু মার্কেট, ফকির মার্কেট, শাহ সাব বাড়ি, গুদারা ঘাট, বিসিক টেকপাড়া, বিকেলে গাজীপুর শহরের জোড়পুকুরপাড়, ছায়াবীথি এলাকায় গণসংযোগ করেন রনি।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত মনে করছি গাজীপুরে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ঠিক আছে। নির্বাচনের মাঠ তো মাত্র গরম হচ্ছে। সামনে দেখা যাবে যে নির্বাচনের প্লেয়িং ফিল্ড কতটুকু ঠিক থাকে।”

তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের আস্থা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প্রতি তেমন নেই। আমি মনে করছি দলীয় সরকারের অধীনে যদি তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে চায়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিকল্প কোনো চিন্তা করা যাবে না।”

নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনকে পরীক্ষা হিসেবে দেখার যে কথা বলেছে, তা নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানান রনি।

তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন এবার আশ্বস্ত করেছে যে যদি কোথাও ওইরকম কোনো ঘটনা পুনরাবৃত্তি হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার নির্বাচন বন্ধ করে দেবে। আমাদের ২৫ মের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।”

২০১৮ সালে তার চাচা যখন বিএনপির প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়েন, সে সময় সমান সুযোগ পাননি বলেও অভিযোগ করেন এবার হাতি প্রতীকের প্রার্থী।

তিনি বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটার দিকে তাদের খেয়াল রাখতে হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো যদি এবারও চিন্তা থাকে কিংবা ওইরকম হওয়ার পসিবলিটি থাকে তা হলে আমি চাইব প্রতি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট এবং সেনা মোতায়েন করা হোক। কারণ সেনাবাহিনীর উপর এখনও মানুষের আস্থা আছে।”

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, স্বতন্ত্রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন, ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, জাতীয় পার্টির এমএম নিয়াজ উদ্দিনও এদিন গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।