ইউএনও বলেন, “বিএনপির দুপক্ষে উত্তেজনার মধ্যে শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”
Published : 19 Mar 2025, 08:57 PM
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
বুধবার বিকালে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, “বিএনপির দুপক্ষে উত্তেজনার মধ্যে শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বুধবার শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইফতার পার্টির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খানের সমর্থকরা। অপরদিকে একই স্থানেই ইফতার পার্টির আয়োজনের ডাক দেয় বিএনপি নেতা আজিজুল হক পিকুলের সমর্থকরা।
এ অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৪টায় নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় দুটি পক্ষ মারমুখী অবস্থান নেয় এবং এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকাল পৌনে ৫টায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এ ঘটনার কারণে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান রতন, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ফেরদৌস, যুবদল নেতা আবু হুরায়রাসহ উভয় পক্ষের ১০-১২ জন আহত হন।
এ ছাড়া লাদেন মিয়া নামের এক যুবদল নেতা গুরুতর আহত হলে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিকাল থেকেই ইউএনও, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুজাহিদুল ইসলাম নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থান নেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, “১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আজিজুল হক পিকুলের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।