সিলেটে জোড়া খুনের মামলায় তিন জনের প্রাণদণ্ড

রায় ঘোষণার সময় পাঁচ আসামির মধ্যে চার জন আদালতে হাজির ছিলেন; মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক জন পলাতক রয়েছেন।

সিলেটে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বনফুলের দুই কর্মচারী খুনের মামলায় তিন জনের প্রাণদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি জুবায়ের বখত জুবের।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, বাগবাড়ী নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া এবং কাজলশাহ এলাকার উজ্জ্বল মিয়া।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট নগরীর কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল এবং গোলাপগঞ্জের পূর্ব ফুলসাইন্দ এলাকার শাকিল আহমেদ। রায়ে এ দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পিপি জুবায়ের বখত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মৃত্যুদণ্ডের প্রত্যেক দোষীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শিপন মিয়াকে মামলার অন্য এক ধারায় আরও ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চার জন আদালতে হাজির ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিপন আহমদ পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথির বরাতে জুবায়ের বখত জানান, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ (১৯), এসএম তাপু মিয়া (৩৫) ও রাসেল আহমদকে (২৩) অজ্ঞাতরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাজু ও তাপুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাজুর ভাই মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগরের শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় তিন তদন্তকারী কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে। আদালত মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রোববার (১৫ অক্টোবর) এ রায় দেয়।