পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার আসলাম নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর সহযোগী।
Published : 12 Jul 2023, 08:20 PM
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় আসলাম মিয়া নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা।
গ্রেপ্তার ৩৫ বছর বয়সী আসলাম মিয়া সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বাত্তি গ্রামের ভূলো মিয়ার ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, আসলাম নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর অন্যতম সহযোগী।
ওসি সোহেল রানা বলেন, “সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জুলাই নয়ন মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসলামের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।”
গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে একদল দুর্বৃত্ত বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির উপজেলা প্রতিনিধি নাদিমকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়; ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন বিকালে তিনি মারা যান।
‘সংবাদ প্রকাশের জেরে’ নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আলোচনায় ছিলেন সাধুরপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে তিনি পরপর দুবার নৌকার মনোনয়ন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এই চেয়ারম্যানই ‘খুনের হোতা’ বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলায় বলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন বাবু।
পরে ১৭ জুন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাবুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে মামলার আসামি বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাতকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২৩ জুন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: বাবু চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আরেক আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ড
জামালপুরে হামলায় আহত সাংবাদিকের মৃত্যু