হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিবও ওই বিহার পরিদর্শন করেন।
Published : 11 Feb 2024, 07:26 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে কক্সবাজারের রামুতে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন বিএনপির প্রতিনিধিদল।
রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের চেরাংঘাটাস্থ ‘উসাইচেন রাখাইন বৌদ্ধ বিহার’ বা বড় ক্যাং পরিদর্শন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু এবং হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
এ সময় দলের সদস্যরা বিহারটির ধর্মীয় গুরু এবং পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘটনার দিনের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ও উপাসনালয়ে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি কমিটি গঠন করেন। তাই অংশ হিসেবে রামুতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিদর্শন করা হয়।
নির্বাচনের দুদিন আগে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে রাখাইন সম্প্রদায়ের ওই বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালানো হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এতে বিহারটির বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও আগুনে বিহারটির মূল প্রবেশপথের সিঁড়ি কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
পরবর্তীতে ঘটনার চারদিন পর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে মো. আব্দুল ইয়াছির ওরফে শাহজাহানকে (২৩) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ইয়াছির রামু উপজেলার ফতেখাঁরকূল ইউনিয়নের পূর্ব মেরংলোয়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। তার বাবা বিএনপির ফতেখাঁরকূল ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
এ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছিল, ওই যুবক ‘মূলত বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনকে বানচালের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে’ বিহারে আগুন দেন।
বিহার পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী এবং হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পার্থ দেব মণ্ডলসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন:
রামুর বৌদ্ধ বিহারে আগুন, পুড়েছে সিঁড়ি