“২৫ মে তো আমি ঢাকায় ছিলাম; তাহলে মিটিং করলাম কীভাবে?”
Published : 27 May 2024, 06:41 PM
তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন।
এর আগে বুধবার উপজেলা নির্বাচন থেকে ‘এমপির চাপে’ সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর শহিদুল ইসলাম বাবুল ‘জনগণের চাপে’ ফের ভোটের লড়াইয়ে ফেরার কথা বলেন।
সেসময় শহিদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর চাপে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহিদুল বলেন, “আমার ৬৮টি কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ ও প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার নেতাকর্মীরা ভীত-সন্ত্রস্ত। আমি এখন টিকে থাকতে পারতেছি না।”
এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, “স্থানীয় চেয়ারম্যান, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং এমপি মহোদয়ের লোকেরা হুমকি দিতেছে প্রকাশ্যে সিল মেরে দেবে। কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেবে না। এমপি মহোদয় নিজেই বলতেছে আমাকে ৬৮টি কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে দেবে না। তার এই বক্তব্যের ফলে আমার নেতা-কর্মীরা এত নিরুৎসাহিত হয়েছে যে, আমার জীবন এখন হুমকির মুখে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে ২১ মে নিক্সন চৌধুরী আমার বাড়িতে এসে শত শত লোকের সামনে থেকে আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়াতে বাধ্য করেন। এরপর জনগণের দাবির মুখে আবার নির্বাচনের মাঠে ফিরেছি।”
শহিদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করে বলেন, “২৫ মে নিক্সন চৌধুরী আমার নির্বাচনি এলাকার বাসভবনে সভা করেন। সেখানে শুধু তিনিই নন, তার অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যানেরাও ঘোষণা দেন যে ৬৮টি ভোটকেন্দ্রের একটিতেও আমাকে এজেন্ট দিতে দেবেন না। ওই সভায় তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থী কাজী শফিকুর রহমান নয় বরং তিনি নিজেই প্রার্থী বলেও উল্লেখ করেন।”
নিজেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে বাবুল বলেন, “ওই সভায় নিক্সন চৌধুরী আমাকে ‘জারজ সন্তান’ বলে গালিগালাজ করেন। একই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাকে সদরপুরে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিক্সন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, “যারা জানে যে ভোটে হেরে যাবে তারা তো সংবাদ সম্মেলন করে এসব উল্টাপাল্টা কথা বলবেই। ২৫ মে তো আমি ঢাকায় ছিলাম; তাহলে মিটিং করলাম কীভাবে?”
আরও পড়ুন