পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের সুবিধা নিশ্চিতে আরেকবার সুযোগ চাইলেন লিটন

রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2023, 05:32 PM
Updated : 4 June 2023, 05:32 PM

অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এবং পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের সুবিধা নিশ্চিতে আরেকবার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ চান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশ নির্বাচন। ভোটের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে নগরীজুড়ে। দিনভর গণসংযোগ ও প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

রোববার বিকালে নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাজঘাট এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন লিটন। খোঁজাপুর, স্কুলমোড়, সাতবাড়িয়া, ডাঁশমারি, মিজানের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন।

রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি।

নৌকার এই প্রার্থী বলেন, “২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মতো পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডের নাগরিকরাও যেন পূর্ণ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পান, সেটি নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য আমাকে আরেকবার সুযোগ দিন; ২১ জুন সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করুন।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ দেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সবুজ, পরিচ্ছন্ন, আলোকিত ও বাসযোগ্য নগরী পেয়েছে রাজশাহীবাসী। আরও অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। সেই অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই।”

এবার কর্মসংস্থান সৃষ্টি তার লক্ষ্য–এ কথা জানিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “আপনাদের সন্তানদের কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই। রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।”

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতেও ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান এই প্রার্থী।

সিটি করপোরেশনটির দুইবারের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “আপনাদের ভোটে আমি দুইবার মেয়র ছিলাম। মেয়র থাকাকালে কোনো বস্তি উচ্ছেদ করিনি, কারো একটি বাড়ি-ঘরও ভাঙা হয়নি। অথচ নির্বাচন এলেই অপপ্রচার করা হয়। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

ভোটের দিন সকাল সকাল কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান লিটন।

তিনি বলেন, “নির্বাচনে ভোট দেওয়া আপনার নাগরিক অধিকার। আপনি মেয়র হিসেবে কাকে চান, কাকে কাউন্সিলর চান; সেটি আপনিই নির্ধারণ করবেন। আপনি যদি রায় দিতে ভুল করেন, তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ২০১৩ সালের মতো ভুল করা যাবে না। যে ভুলে রাজশাহী অনেক পিছিয়ে গিয়েছিল।”

গণসংযোগকালে তার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নওশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেলসহ অন্যরা।