এ ঘটনা জড়িত সন্দেহে পিস্তল ও গুলিসহ এক যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
Published : 15 Apr 2025, 05:25 PM
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীম হোসেনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনা জড়িত সন্দেহে পিস্তল ও গুলিসহ এক যুবককে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
সোমবার রাত ১০টার দিকে পাঁচবিবি পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম।
আটক যুবকের নাম রুবেল মোল্লা (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার কুষ্টপুর গ্রামের শাহাদত মোল্লার ছেলে বলে। তিনি জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শামীম হোসেন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, পহেলা বৈশাখের দিন রাত ১০টার দিকে শামীম হোসেন মোটরসাইকেলে করে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে যান। এ সময় একদল লোক তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা রুবেলকে আটক করে পিটুনি দেন। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয়টি গুলি পাওয়া গেছে।
তবে জনতা রুবেলকে আটক করলেও তার সহযোগী অন্য পাঁচজন পালিয়ে গেছে; যাদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি মইনুল ইসলামের।
জয়পুরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য হারুনুর রশিদ সজল বলেন, “রাত ১০টার দিকে আমি, শামীম ও বায়োজীদসহ কয়েকজন মার্কেটের সামনে বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন অপরিচিত লোক এসে আমাদের সামনে দাঁড়ায়।
“তাদের মধ্যে হেলমেট পরা একজন বলেন, ‘এই যে, ওই ব্যক্তি শামীম।’ এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীরা শামীমসহ আমাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি থেকে বাঁচতে আমরা মাটিতে শুয়ে পড়ি। এর মধ্যে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করেন। বাকিরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।”
আহত শামীম হোসেন বলেন, “এটা পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা, তা না হলে ফরিদপুর থেকে আমাকে হত্যার উদ্দেশে তাদের এখানে আসার কথা না। আমাকে হত্যার জন্য তাদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে ধারণা করছি।”
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, রাতে আহত রুবেলকে অজ্ঞান অবস্থায় পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া রুবেল সুস্থ হলে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।