ফরিদপুরে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি দুই শ্রমিক নেতা ও জড়িতদের পাঁচ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার না করা হলে এসপির কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দেন সমন্বয়করা।
Published : 19 Jan 2025, 07:20 PM
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলা চালিয়ে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সহ সভাপতিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন ছাত্র সমন্বয়করা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদপুরের এসপি কার্যালয়ের পাশে ‘পুনাক রেস্টুরেন্টের’ সামনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ফরিদপুরের অন্যতম ছাত্র সমন্বয় সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাছির ও সহ সভাপতি জুবায়ের জাকির মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় আসামি গোলাম নাছির, জুবায়ের জাকির বক্তব্য দেন।
তারা দুজনেই শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা।
ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু।
প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
তাদের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ছাত্র সমন্বয়কেরা।
সমন্বয়কদের দাবি, এমন একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি, পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি গোলাম নাছির ও সহ সভাপতি জুবায়ের জাকির। বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না।
সমন্বয়ক সোহেল রানা বলেন, “এই নাছির ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরাসরি তার বাহিনী নিয়ে হামলায় অংশ নেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
“পুলিশ খুঁজে না পেলেও, অনুষ্ঠানে আসামিদের প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে দেখে হতবাক ফরিদপুরের সাধারণ মানুষ ও ছাত্রসমাজ।”
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নাছির ও জাকিরসহ আসামিদের গ্রেপ্তার দেখাতে না পারলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু, নিরব ইমতিয়াজ শান্ত, মেহেদী হাসান হৃদয়, সাজিদ খান, আবু নাঈম, জেবা অতশি, সিফাত, ওয়ালিদ, আশরাফ, তাহসিন, আশিক উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা হামলার সাথে জড়িত, তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”