গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
Published : 01 Jul 2024, 09:18 PM
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটের তিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে; ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার ও সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সিলেটেও বৃষ্টি হচ্ছে; এতে নদ-নদীগুলোর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আবার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, “উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নসহ নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে গেলে জৈন্তাপুরের পানি দ্রুত নেমে যায়।
“বন্যার পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছি ও জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরাও মাঠে কাজ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্র মানুষজন আসতে শুরু করেছেন।”
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা নাসরিন বলেন, “উপজেলার সব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বন্যার পানি রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন করে কোনো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেননি।”
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “নদ-নদীর পানি বাড়ায় গোয়াইনঘাটে তৃতীয় দফা বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছি।”
পাশাপাশি পরিস্থিতির অবনতি হলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্য ৪৭টি নৌকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান এই ইউএনও।
আরও পড়ুন:
সিলেটে বেড়েছে বৃষ্টিপাত, বন্যার আশঙ্কা