মুন্সীগঞ্জে ‘প্রথম স্ত্রী জানায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা’, স্বামী গ্রেপ্তার

পুলিশ বলছে, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গোপনে সংসার করার বিষয়টি প্রথম স্ত্রী জেনে যাওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শাহীন।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2023, 05:38 PM
Updated : 23 March 2023, 05:38 PM

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় মেয়সহ এক গৃহবধূ খুন হওয়ার এক বছর পর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মুন্সীগঞ্জ পিবিআিই’র পরিদর্শক শাহিনুর আলম জানান, বুধবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাহীন পাহাড় (৩৫) শ্রীনগরের বালাশুর নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা।

নিহতরা হলেন- রিম্পা খাতুন (২৫) ও নয় মাস বয়সী মেয়ে আমেনা। রিম্পার বাবার বাড়ি পাবনা সদরে। তিনি শাহীন পাহাড়ের দ্বিতীয় স্ত্রী।

পিবিআই জানায়, ২০২২ সালের ৮ মার্চ শ্রীনগরে ব্রাহ্মণ পাইকশা গ্রামের একটি পতিত জমি থেকে লেপ মোড়ানো এক নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।সে সময় তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে পুলিশ বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব আসে পিবিআইয়ের কাছে।

তদন্তে নেমে পিবিআই জানতে পারে, বালাশুর এলাকার রিম্পা বেগম নামের এক নারী সন্তানসহ নিখোঁজ আছেন। কিন্তু তার বাবার বাড়ির বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পানেনি। এরপর রিম্পার শাহীন পাহাড়ের সন্ধানে নেমে এক বছর পর বুধবার রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে টাঙ্গাইলের হাশেম মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়। হাশেম শ্রীনগরের ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন। পরে তাকে সাক্ষী করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পিবিআই পরিদর্শক শাহিনুর আলম বলেন, “জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম  জশিতা ইসলামের আদালতে শাহীন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সেখানে বলেছেন, দ্বিতীয় স্ত্রী রিম্পাকে নিয়ে তিনি কামারগাঁও এলাকায় ভাড়া বাড়িতে গোপনে সংসার করতেন। তাদের সংসারে আমেনা নামের এক মেয়ের জন্ম হয়। এরপর শাহীনের প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জেনে যান।

“এর জেরে গত ৭ মার্চ রাতে শাহীন ও রিম্পার মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে তিনি রিম্পা ও মেয়ে আমেনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। লাশ গুম করার জন্য লেপ দিয়ে মুড়িয়ে অটোরিকশা চালক হাশেম নিয়ে কোলাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকসা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যান।”

শাহীন পাহাড়ের বাবা তৈয়ব পাহাড় বলেন, “শাহীন আগে থেকেই বেপরোয়া। সে একাধিকবার তার সৎ মা ও আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। বাবা হিসাবে আমিও তার উপযুক্ত বিচার চাই।”