“বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীনের উপস্থিতিতে মারধর করে কিভাবে শামীম মোল্লাকে মারা হয়?”
Published : 21 Sep 2024, 09:28 PM
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার হত্যার বিচার, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মব জাস্টিস বন্ধসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষর্থীরা।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে আগের জায়গায় এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান৷ এগুলো হলো- সারাদেশে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ এবং ‘মব জাস্টিস’ বন্ধ করতে হবে; ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার হত্যার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; নিরাপত্তা শাখায় কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা শাখা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভূমিকা তদন্ত করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ে হামলাকারীদের নামে মামলা করতে হবে।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান কবির রাসেল বলেন, “মব জাস্টিসের নামে নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙে কারা শামীম মোল্লাকে হত্যা করলো এবং সে সময় নিরাপত্তা কর্মীরা কোথায় ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীন ছাত্র-আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলার আসামি। তার উপস্থিতিতে মারধর করে কিভাবে শামীম মোল্লাকে মারা হয়? প্রক্টর অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ নেই কারণ সেটি নাকি নষ্ট! নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সবকিছু বের করে আনতে হবে।”
নাটক ও নাট্যতত্ত্বের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, “আজ আমরা অনিরাপদ। এই অনিরাপদ বাংলাদেশ চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি মব জাস্টিস করতে চায়, অস্থিতিশীল করতে চায়; তাদেরকে এই ক্যাম্পাসে চাই না। ১৮ তারিখ প্রক্টর অফিসে একজন লোককে পিটায় মারার সময় নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এখনো তাদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো ১৫ জুলাইয়ে হামলাকারীদের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। অতিদ্রুত সেই তালিকা প্রকাশ করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।”