এ ঘট্নায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 27 Jan 2024, 08:01 PM
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরে বাসস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটান হয়। এতে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার দাবি করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো. আহসান হাবিব জানান।
এ ঘট্নায় নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম চৌকিদারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম চৌকিদার ও নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মামুন মোস্তফা সিকদার তাদের লোকজন নিয়ে গত কয়েকদিন আগে জোর খাটিয়ে উপজেলা সদরের ডা. গোলাম মাওলা সেতুর পশ্চিম পাড়ের নড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিভিন্ন কাউন্টার আংশিক দখল করে নেন।
শনিবার দুপুরে তারা ফের শতাধিক লোক ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালান ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কাউন্টারগুলো পুরাপুরি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
মোক্তারের চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাবেদ শেখের দাবি, প্রতিপক্ষ তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে জাবেদ শেখ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা চালান।
বোমার স্প্রিন্টার ও ইটের আঘাতে সিরাজ সিকদার (৪০), মতি শেখ (৫০), মিরাজ মিয়া (৩০), আলী খা (৪০), রুবিনা বেগম (৩৫), জামিলা খাতুন (৪০), পথচারী আলম বেপারী (৩০), আনোয়ার হোসেন মাদবরসহ (৫০) দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
তাদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় শাহ আলম চৌকিদার, মামুন মোস্তফা সিকাদর, যুবলীগ কর্মী রিপন শেখকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মোস্তফার স্ত্রী নাজমা বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে নড়িয়া সদর বাসস্ট্যান্ড নিয়ে ঝামেলা চলছিল। আমি যতটুকু শুনেছি, শাহ আলম চৌকিদার গংরা বাসস্ট্যান্ড একা দখল করে খেত।
“এখন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ও বিএনপির লোকজন নিয়ে জাবেদ শেখ গংরা বাসস্ট্যান্ড দখল করতে এলে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ আমার স্বামীকে নড়িয়া থানায় ধরে নিয়ে গেছে।”
জাবেদ শেখ বলেন, “অন্যায়ভাবে শাহ আলম চৌকিদার, নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মামুন মোস্তফা সিকদারসহ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে বোমা হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০/১২ জন লোক মারাত্মক আহত হয়েছেন।”
নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন বলেন, “শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের নড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে দুটি গ্রুপ হয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যান শাহ আলম চৌকিদার। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে জাবেদ শেখ গংরা। তাদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব ছিল। এটা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা না।”
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো. আহসান হাবিব।