মিছিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়; যা পরে দুই পড়ার মধ্যে ছড়ায় বলে জানায় পুলিশ।
Published : 01 Jan 2025, 07:18 PM
পাবনার বেড়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা বাজার এলাকায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান বেড়া মডেল থানার ওসি ওলিউর রহমান।
আহতদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর একজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আরেকজনকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা সদরে বেশ কয়েকটি মিছিল বের হয়। এ সময় দুটি মিছিলের মধ্যে একটির নেতৃত্বে ছিলেন বেড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুরাদ এবং অন্যটির নেতৃত্বে ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রান্ত সওদাগর ও ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক বক্কার।
দুই দিক থেকে আসা দুটি মিছিল কাদের ডাক্তারের মোড়ে পৌঁছালে নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পৌর এলাকার হাতিগাড়া ও বনগ্রাম সওদাগর পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে সংঘর্ষের ঘটনাকে দলীয় ঘটনা নয় বলে দাবি করেছেন বেড়া পৌর ছাত্রদল।
বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মানিক হোসেন বলেন, “দুই গ্রামের ছেলেদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এর সঙ্গে ছাত্রদলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
ওসি ওলিউর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে জড়ান তারা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমিনপুর ও সাঁথিয়া থানা পুলিশ রয়েছে।