“অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
Published : 04 Jul 2024, 02:33 PM
চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে জড়ো হয়। পরে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে।
প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধের পর আন্দোলন জারি রাখার ঘোষণা দিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা থেকে সরে যান তারা।
মহাসড়ক অবরোধের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের অবরোধের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় তাদের কাছে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাই। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা পর রাস্তা থেকে সরে যায়।”
শিক্ষার্থীদের চারটি দাবির মধ্যে রয়েছে- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। ফলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছি।
“অবিলম্বে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”