ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পাউবোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
Published : 06 Jul 2024, 06:25 PM
সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুরে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসমীরা ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টা যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাঙন এলাকাগুলোতে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে যুমনার পানি বৃদ্ধি পাওয়া তলিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ তাঁত কারখানা, রাস্তাঘাট ও হাট-বাজার। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে চার হাজার হেক্টরেরও বেশি আবাদি জমির ফসল। কাজিপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, এর মধ্যে জেলায় চার হাজার ৬৩০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব জমির পাট, তিল, কলা, সবজি ও মরিচ প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, নদীর তীরে ও চরাঞ্চলে অবস্থিত পাঁচ উপজেলা কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের ৩৪টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৩৬২টি পরিবারে ২৩ হাজার ৮৩৬ জন মানুষ পানিবন্দি।
এসব মানুষের জন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৪৪৪ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা এবং ৫০৫ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে বলে জানান ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান শাহজাদপুর ও কাজিপুর উপজেলার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পাউবোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।