পাঁচদিন পর সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু

তামাবিল স্থলবন্দর।

পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে।

রোববার কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নতুন অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ঠিক হওয়ার পর সোমবার থেকে আমদানি শুরু হয় বলে জানান তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন।

এর আগে পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ২ ডলার বাড়ানোর প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে এসব পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা।

সানোয়ার হোসেন বলেন, “কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়। এতে ট্রাকপ্রতি ব্যয় ১২০০-১৩০০ টাকা বেড়ে যাবে। তাই আমরা আমদানি বন্ধ করেছিলাম।

“আমদানি বন্ধ হওয়ার পর রোববার কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নিই।”

যে কোনো সিদ্ধান্তই ব্যবসায়ী ও আমাদানীকারকদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো বলে মনে করেন তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী।

তিনি বলেন, “হঠাৎ করে কিছু চাপিয়ে দিলে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টন প্রতি ২ ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া একেবারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমরা খুশি। দেশের স্বার্থে আমরাও কিছু ছাড় দিয়েছি।”

কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের উপ কমিশনার (সদর দপ্তর) মো. সোলাইমান হোসেন জানান, বোল্ডার ও চুনাপাথরে আমদানিতে ডিউটি টন প্রতি যথাক্রমে ১১ ও সাড়ে ১১ ডলার থেকে ১২ সাড়ে ১২ ডলার করার প্রস্তাবনা ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি হননি। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এক ডলারের কম অর্থাৎ ৭৫ সেন্ট করে টন প্রতি রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তের পর ব্যবসায়ীরা সিলেটের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পাথর-চুনাপাথর আমদানি শুরু করেছেন।

তবে এ পাঁচদিন কয়লা বা অন্য কোনো পণ্য আমদানিতে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

শুল্ক বৃদ্ধি: সিলেটের স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ