সিলেটে ১৩ টি শুল্ক স্টেশন রয়েছে; এর মধ্যে নয়টি দিয়ে চুনাপাথর ও বোল্ডার বা বড় পাথর আমদানি হয়।
Published : 17 Aug 2023, 09:29 PM
কাস্টমস ডিউটি ও আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
বুধবার থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সিলেটের তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী।
সিলেটে ১৩ টি শুল্ক স্টেশন রয়েছে; এর মধ্যে নয়টি দিয়ে চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের উপ-কমিশনার (সদর দপ্তর) মো. সোলাইমান হোসেন জানিয়েছেন, ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বাড়াতে হয়েছে।
সন্ধ্যায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়নি; শুল্কও আমরা বাড়াইনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ডলারের দাম বেড়েছে। আগের ৮৪ টাকার জায়গায় এখন ডলারের দাম ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতিই শুল্ক বৃদ্ধির কারণ।
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকেই মূলত অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে। এটা কেবল সিলেটে নয়, সারাদেশের স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনেই বাড়ানো হয়েছে। সিলেটে বাড়ানোর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়েছে। আমদানিকরা চাইলে এনিয়ে আবারও আলোচনা করতে পারেন।”
তবে আলোচনায় কোনো সমাধান না আসার কারণেই আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিকটনে দুই ডলার বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।”
শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরেই স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমদানিকারকদের বাদানুবাদ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও কাস্টমরস কর্মকর্তারা তাতে রাজি হননি। আলোচনায় সমাধান না হওয়ার কারণেই আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।”
সুনামগঞ্জের ছাতক লাইমস্টোন ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক সেলিম চৌধুরী বলেন, “এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ, তার ওপর টন প্রতি ২ ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে।
“এতে ট্রাক প্রতি ব্যয় ১২০০-১৩০০ টাকা বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় আমরা বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে।”