ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক ও ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র ১১ দফার অন্যতম এ প্রণেতা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কাউন্সিল উদ্বোধন করেন।
Published : 31 May 2024, 12:44 AM
বর্ষীয়ান রাজনীতিক দীপা দত্তের বিশ্বাস, সর্বস্তরে নৈতিকতার অবক্ষয়ে খাদের কিনারে চলে যাওয়া দেশকে উঠে দাঁড়ানোর পথ দেখাতে পারে বামপন্থিরা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ঐতিহ্যবাহী বটতলায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ষোড়শ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি বামপন্থিদের নিয়ে এমন প্রত্যাশার কথা শোনান।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক ও ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র ঐতিহাসিক ১১ দফার অন্যতম প্রণেতা ছিলেন দীপা দত্ত।
তিনি বলেন, “দেশের সর্বস্তরের আজ যে নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে, তা দেশকে একেবারে খাদের কিনারে নিয়ে যাচ্ছে। তবে সেখান থেকেও যে উঠে আসা যায়, বামপন্থি ছাত্রসংগঠন সেই পথ দেখাতে পারে।”
বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দীপা দত্ত বলেন, “আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি। অনেকে মনে করে নতুন প্রজন্ম মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। বাড়ির আশপাশের লোকদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। আমি সেটা বিশ্বাস করি না। খাদের কিনারা থেকেও আপনারা উঠে দাঁড়াবেন, এটাই আমার বিশ্বাস।
“এ মুহূর্তে আপনাদের জন্য বৈরী পরিবেশ অনেক বেশি। আমরা কথায় কথায় শুনি বামদের তো দেখাই যায় না। আমি বলতে চাই, আপনারা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার মত নন। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা যারা বাম রাজনীতি করেন, ছাত্র মৈত্রী করেন তারা উঠে দাঁড়াচ্ছেন।”
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ইকবাল কবীরের অভিযোগ, “এখানে (দেশে) উন্নয়ন যে হচ্ছে না, তা নয়। একটা গোষ্ঠীর ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে; তা মূলত দেশের অধিকাংশ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের ওপর শোষণ চালানোর মাধ্যমে গুটিকয়েক মানুষের উন্নয়ন।”
বাংলাদেশর বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের সন্তানের শিক্ষাজীবন পরিচালনা করা আজ যুদ্ধের মত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার ক্রমাগত বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে এ দেশের লুটেরা শ্রেণির স্বার্থেই।
অন্যান্যের মধ্যে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি মোল্লা হারুন অর রশিদ, বর্তমান সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, ঢাকা মহানগরের সভাপতি তৈয়ব ইসলাম, কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল হাসান, জাবির আহমেদ জুবেল বক্তব্য দেন।
দুই দিনের কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে শুক্রবার। এখান থেকে সংগঠনটির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হবে।